মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। সবশেষ তথ্যমতে, নির্বাচনে ২৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে ফলাফল আসতে বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গাতেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের পরিসংখ্যান অনুসারে, এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল জানতে বাকি রয়েছে। এর মধ্যে নেভাদা ও উইসকনসিনে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। আর পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড, মিশিগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাংক ও আলাস্কার মতো অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে জল্পনার সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছে মিশিগান। বোদ্ধাদের ধারণা, এই একটি অঙ্গরাজ্যই বদলে দিতে পারে ভোটের সব হিসাব। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিশিগানের ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এগিয়ে গিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ লাখ ২ হাজার ২৮৫টি (৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ) ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৮টি (৪৯ দশমিক ১ শতাংশ)।
নেভাদা ও উইসকনসিনে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। নেভাদায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৫২টি (৪৯ দশমিক ২ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। সেখানে তার প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬০৫টি (৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ) ভোট। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ছয়টি।
উইসকনসিনে দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান আরও কম। সেখানে বাইডেন পেয়েছেন ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৪টি (৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ) ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ৯ হাজার ৫৮৬টি (৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ)। রাজ্যটিতে ভোট গণনা হয়েছে ৯৫ শতাংশ। সেখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০টি।
এগিয়ে থাকা এ দু’টি অঙ্গরাজ্যে জিতলে জো বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোট হচ্ছে ২৫৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে দরকার হয় অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট।
অপরদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০টি ইলেকটোরাল ভোট থাকা ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়ায় পেয়েছেন ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৬টি (৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ) ভোট। সেখানে বাইডেনের ঘরে গিয়েছে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৬২৪টি (৪৩ দশমিক ১ শতাংশ)। অঙ্গরাজ্যটিতে ভোট গণনা হয়েছে ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ এখনও বেশ কিছু ভোট বাড়তে পারে দুই পক্ষেরই। নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প ২৭ লাখ ৩২ হাজার ১০৪টি (৫০ দশমিক ১ শতাংশ) ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিপরীতে বাইডেন পেয়েছেন ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯২টি (৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ)। এ রাজ্যটিতে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৫টি। আরেক ব্যাটলগ্রাউন্ড জর্জিয়াতেও এগিয়ে ট্রাম্প। ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট থাকা এ রাজ্যে তিনি পেয়েছেন ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৬ (৫০ দশমিক ৫ শতাংশ) ভোট। আর প্রতিদ্ব›দ্বী বাইডেন পেয়েছেন ২২ লাখ ৭৮ হাজার ১২৩টি (৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ)।
আলাস্কায়ও বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৩১টি (৬২ দশমিক ৯ শতাংশ) ভোট। আর বাইডেন পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৮৪৯টি (৩৩ শতাংশ) মাত্র। এ অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে মাত্র তিনটি।
তবে ব্যবধান আর ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মিশিগান। মিশিগানের ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এগিয়ে গিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ লাখ ২ হাজার ২৮৫টি (৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ) ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৮টি (৪৯ দশমিক ১ শতাংশ।) ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট থাকা এ রাজ্যে এপর্যন্ত ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
তবে এবারের নির্বাচনে যেহেতু রেকর্ড সংখ্যক ডাকভোট পড়েছে, ফলে সেগুলো যোগ হলে বদলে যেতে পারে গোটা ভোটের হিসাব-নিকাশ। কারণ, কোনও অঙ্গরাজ্যে পপুলার ভোটে জয়ী হলে সেখানকার সব ইলেকটোরাল ভোটই চলে যায় বিজয়ীর পকেটে।এখন পর্যন্ত মোট পপুলার ভোটে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও ইলেকটোরাল ভোটে যেমন ট্রাম্পের জয়ের সম্ভবনা রয়েছে, তেমনি ডাকভোট যোগ হলে মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে বিজয়ীর নাম পরিবর্তন হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মিশিগানে ট্রাম্প জিতলে তার ফের হোয়াইট হাউস দখলের পথ সুগম হবে, তেমনি বাইডেন জিতলে তারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।