মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের চারপাশে রাতারাতি বেড়া দেয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ভরযোগ্য কোনো স‚ত্রে এখনো কোনো হুমকির আশঙ্কা নেই। কিন্তু ভোট চলাকালীন বা পরের কয়েকদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে এমনটা ধরে নিয়ে প‚র্ব সতর্কতা হিসেবেই বেড়া দেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের চারপাশে এখন আট ফুট উঁচু এবং চার ফুট প্রশস্ত লোহার প্যানেল বসিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। এই বেড়া বেয়ে ওঠা সম্ভব নয়। প্রতিটি প্যানেল যুক্ত করে হোয়াইট হাউসের পশ্চিম পাশের খোলা জায়গা পুরোপুরি সিল করে দেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের চারদিকে ৫২ একর পরিমাণ এলাকা বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষকে যতোটা সম্ভব হোয়াইট হাউস এলাকা থেকে দ‚রে রাখার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক অঙ্গরাজ্যে কিছু এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বোর্ড এবং প্লাইউড দিয়ে ঘেরা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ওয়াশিংটনের অশান্তির আশঙ্কায় তটস্থ ব্যবসায়ীরা। সিএনএন’র খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চ‚ড়ান্ত ফলাফল আসার আগেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নির্বাচনের রাতে হোয়াইট হাউসসহ রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশকিছু শহরে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। মার্কিন গণমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন বিভিন্ন শহরে ব্যবসায়ীরা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ থেকেও। সহিংসতা প্রতিরোধে ৫০ জনকে আটকও করা হয়েছে যারা লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনের স্ট্যাপলস সেন্টারের আশপাশে জড়ো হয়েছেন, তাদের সরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভ হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির সিয়াটলে, মিনিয়াপলিসেও। সিয়াটলে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। খবরে বলা হয়, একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলছে। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন তিনি বিজয়ী হয়েছেন। আর বিরোধীদলীয় প্রার্থী জো বাইডেনও জয়ের দাবি করেছে। উত্তেজনায় কাঁপছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। অন্যদিকে বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন রাজ্যে। প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনেও চলছে বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের রাতটি উত্তেজনায় ভরা। এ রাতেই ওয়াশিংটন ডিসি’তে বিক্ষোভ হয়েছে। তাতে ধস্তাধস্তি হয়েছে। ফলে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে তা গণনা শুরু হতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় ওয়াশিংটনে। এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ক্যাপিটল ভবন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে কয়েক শত মানুষ। এ সময়ে তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেøাগান দিতে থাকে- ‘যদি আমরা ন্যায়বিচার না পাই, তাহলে তারা শান্তিতে থাকতে পারবে না!’ এ খবর দিয়ে বিবিসি বলছে, এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপ‚র্ণ। তবে হোয়াইট হাউজের বাইরে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তাপর করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে এনবিসি। সিবিএস নিউজের সাংবাদিক ক্রিশ্চিনা রুফিনি টুইটে বলেছেন, এ সময় কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে লস অ্যানজেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, র্যালি, নর্থ ক্যারোলাইনা, পোর্টল্যান্ড, অরিগন এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে বিক্ষোভে ধস্তাধস্তি হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগেই সহিংসতার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা আগাম সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। জানালা, দরজায় অতিরিক্ত সুরক্ষামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এদিকে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা। আর বিবিসি বলছে, অনেক স্থানে বিক্ষোভ চলছে। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।