মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কখনো অতি বৃষ্টি আবার তীব্র শীত কিংবা প্রচণ্ড গরম। এতে নাগরিকদের কাহিল অবস্থা। ভারতের রাজধানী দিল্লির এই বেহাল দশার জন্য দায়ী হচ্ছে মাত্রাছাড়া বায়ুদূষণ।
এদিকে আবার দূষণের ঘেরাটোপে দিল্লি। মাত্রাছাড়া বায়ুদূষণে রীতিমতো বিপাকে দিল্লিবাসী। অসুবিধায় করোনা রোগীরা।
লকডাউনের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দিল্লির আবহাওয়া। কল-কারখানা বন্ধ। যানবাহন চলছিল না। প্রতিবেশী রাজ্যে খড় পোড়ানো হচ্ছিল না। তাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। যমুনায় ফিরে এসেছিল নীল জল। আবার তাতে মাছের দেখা মিলেছিল।
কিন্তু দিল্লিবাসীর কপালে এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হলো না। এখন আনলক পর্ব চলছে। স্কুল, কলেজ ছাড়া প্রায় সবকিছুই খুলে গেছে। তাই দিল্লি আবার ফিরে পেয়েছে ভয়ঙ্কর দূষণ। রোদের তেজ নেই। ধোঁয়ার স্তর গ্রাস করেছে দিল্লিকে। কারণ, প্রতিবেশী হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে আবার বিপুল পরিমাণ খড় পোড়াচ্ছেন কৃষকরা। পাঞ্জাবে সরকারি হিসাব, এখনো পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৬৫টি খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। হরিয়ানায় হয়েছে ছয় হাজার ৩৪টি। পাঞ্জাবে গত বছর মোট খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল ২১ হাজার ১৪টি। তার মানে পাঞ্জাবে এ বার ইতিমধ্যেই দেড় গুণ বেশি খড় পোড়ানো হয়েছে। তারপরে কি আর দিল্লির পরিবেশ ঠিক থাকে?
মঙ্গলবার দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই লাগামছাড়া ছিল। অধিকাংশ এলাকায় বাতাস ছিল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। কয়েকটি জায়গায় ভয়ঙ্কর। আর দিল্লির বায়ুদূষণের ৪০ শতাংশ অবদান পাঞ্জাব ও হরিয়ানার খড় পোড়ানোর।
কেন্দ্রে ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যে যে দল শাসনে আছে এবং যারা বিরোধী কেউই খড় পোড়ানো বন্ধ করে কৃষককে চটাতে চায় না। তার ফলে প্রতিবছরই দিল্লি ও তার আশপাশ ঢেকে যায় দূষিত বাতাসের ঘেরাটোপে। এ বার করোনার প্রকোপ চলছে। চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, বাতাস যত দূষিত হবে, ততই করোনা রোগীদের কষ্ট বাড়বে।
বছরের পর বছর একই ছবি। আর প্রতি বছর দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। সময়সীমা বাড়ছে। আগে দেওয়ালির কয়েকটা দিন খারাপ অবস্থা হতো। এখন অনেকটা সময় ধরে দূষণের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় দিল্লিবাসীকে। ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।