নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপালের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের অনুশীলন ক্যাম্পে জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা-শহিদুল আলম সোহেলদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছেন নতুন গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লিভলি। গতকাল পর্যন্ত নতুন শিষ্যদের নিয়ে তিন সেশন কাজ করেছেন ক্লিভলি। এই সেশনগুলোর মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গোলরক্ষকরা মাঠের অনুশীলনে এখন পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। নেপাল ম্যাচের আগে এখনও ১০ দিনের মতো সময় বাকি। আমি চেষ্টা করছি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে। যাতে ঘরের মাঠে দর্শকদের চাপ কাটিয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে রানা-সোহেলরা।’
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দু’টি। অতিথি দলের বিপক্ষে ভালো করতে বর্তমানে মাঠের অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে ম্যাচ যেহেতু নেপালের বিপক্ষে সেহেতু একটু বেশিই সতর্ক বাংলাদেশ দল। কারণ সর্বশেষ দু’ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে শেষ দুই দেখাতেই নেপাল ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের সাফে ঘরের মাঠে নেপালীদের বিপক্ষে হারের স্মৃতি অনেক দিনই তাড়িয়ে বেড়াবে লাল-সবুজদের। আর গত বছরের ডিসেম্বরে সিংহভাগ জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে গড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল কাঠমান্ডু এসএ গেমসে নেপালের কাছে হেরেই ফাইনালে উঠতে পারেনি। তাই নেপালকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন জামাল ভূঁইয়ারা। দলটির বিপক্ষে অতীতের ভুল কিন্তু মনে আছে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের। দুই বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকার ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হারের প্রথম গোলটি বাংলাদেশ হজম করেছিল সোহেলের হাস্যকর ভুলেই। যে ম্যাচ হেরে সাফের গ্রæপপর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছিল বাংলাদেশ।
যদিও ওই ম্যাচ আর সমানের ম্যাচের মধ্যে কোনো মিল দেখছেন না সোহেল। কারণ দুইবছর আগের ম্যাচটি ছিল টুর্নামেন্টের, আর আসন্ন ম্যাচ দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি। তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে ভালো করতে চান আবাহনীর এই গোলরক্ষক। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমকে এমন কথাই বলেন সোহেল। তার কথায়,‘পরবর্তীতে ওই ধরনের ভুল যাতে না হয় সে চেষ্টাই করতে হবে। আগে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো যদি অনুশীলনে না করি, তাহলে কোচ আমাকে খেলাবেন নিশ্চয়ই। আমি যে ম্যাচে ভুল করেছিলাম, সেটা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের। এই ম্যাচটি ট্রেনিং ম্যাচ। দুই ম্যাচের চাপ ভিন্ন। এই ম্যাচটা আমরা স্বাভাবিক খেলব। ৮ মাস পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি যদি খেলতে পারি, বা কোচ যদি আমাকে খেলায়, তাহলে শতভাগের বেশি দেয়ার চেষ্টা করব।’ জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে আছেন চার গোলরক্ষক। সেরা একাদশে জায়গা পেতে সোহেলকে লড়াইটা করতে হবে তার সিনিয়র শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার সঙ্গে। ক্যাম্পের অন্য দুই গোলরক্ষক হলেন- আনিসুর রহমান জিকু ও তরুণ পাপ্পু হোসেন।
জাতীয় দলের নতুন গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লিভলি সম্পর্কে সোহেল বলেন, ‘নতুন এই কোচের অধীনে মাত্র ৩টি সেশন ট্রেনিং করেছি। এখনও অনেকগুলো সেশন বাকি আছে। তখন আমার সমস্যাগুলো বলব। যদিও আমার বলার আগেই নতুন কোচ ওই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।