নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছে তারা। ভক্তদের আশ্বস্ত করে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপল্ড লুকে বলেছেন, তিন-চার দিনের মধ্যেই ছাড়া পাবেন তিনি।
গতপরশু রাতে লা প্লাতার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে স¤প্রতি ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা ম্যারাডোনাকে। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেস থেকে যা এক ঘণ্টার পথ। দেশটির ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম ওলে জানিয়েছে, ম্যারাডোনাকে নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। কোভিড-১৯ রোগ সংক্রান্ত কোনো কারণে তাকে ভর্তি করানো হয়নি। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এসেছিল তার।
রক্তশূন্যতার কারণে এমনটা ঘটেছে জানিয়ে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ম্যারাডোনাকে নিয়ে লুকে বলেছেন, ‘তার জন্য গত সপ্তাহের অর্ধেকটা বেশ কঠিন কেটেছে। প্রচুর চাপে ছিলেন তিনি। আমরা শারীরিক অবনতির বিষয়টি লক্ষ্য করছিলাম। তিনি খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন, যা তার খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলেছিল। দেখা যাক, কতদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। তিনি যোগ করেছেন, ‘ডিয়েগো এখন ভালো আছে। তিনি যখন ইচ্ছা হাসপাতাল ছাড়তে পারেন। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেই। আমার পরিকল্পনা হলো, তাকে অন্তত তিন দিন এখানে রাখা এবং তাকে আগে যে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম, তাতে কিছুটা সামঞ্জস্য নিয়ে আসা।’
গত শুক্রবার শেষবার জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল জিমনাসিয়া লা প্লাতার কোচ ম্যারাডোনাকে। জন্মদিনে নিজ ক্লাবের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সেদিন নানাবিধ আয়োজন রেখেছিল দলটি। মাঠে কেকও কেটেছিলেন ম্যারাডোনা। তবে প্যাত্রোনাতোর বিপক্ষে লা প্লাতার পুরো ম্যাচ দেখা হয়নি তার। পরে জানা যায়, কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই মাঠ ছেড়েছিলেন আগেভাগে।
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ম্যারাডোনার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা জেগেছে বেশ কয়েকবার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া ম্যাচ চলাকালে মাঠেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। আর গত বছরও তাকে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেসময় তার পাকস্থলীর অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।