Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিবগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫০ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে আসামুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী আসামুদ্দিন। অভিযোগে জানা গেছে- আসামুদ্দিনের ভগ্নিপতি মরহুম ইসকত আলী জীবিত থাকা অবস্থায় কোন সন্তান না হওয়ায় তার সমস্ত সম্পত্তি দলিলমূলে স্ত্রী মোসা. খোলেসা বেগমকে রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর ওই সম্পত্তি হেবা ঘোষণা দলিলমূলে আসামুদ্দিনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন মোসা. খোলেসা বেগম। আসামুদ্দিনের নামে সম্পত্তি ভোগদখলে থাকা অবস্থায় গত ৫ মার্চ ইন্তেকাল করেন ইসকত আলী। পরদিন ৬ মার্চ ইসকত আলীর দাফন কাজে বাধা দেয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েলসহ ৮ জন ব্যক্তি। সেখানে উপস্থিত মুসল্লিদের বিতাড়িত করে দেন তারা। পরে চেয়ারম্যান লাশ আটকিয়ে আসামুদ্দিনের ইসলামী ব্যাংকের পাঁচটি চেক পাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। পাশাপাশি তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে আসামুদ্দিনসহ স্ত্রী মোসা. সুফিয়া বেগম ও মরহুম ইসমত আলীর স্ত্রী খোলেসা বেগমের টিপসহি নেন। পরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে চেক পাতা ও স্ট্যাম্পগুলো ফেরত চাইলে চার লাখ টাকা দাবি করলে চেয়ারম্যানকে তিন লাখ টাকা প্রদান করেন আসামুদ্দিন। তবুও চেক পাতা ও স্ট্যাম্পগুলো ফেরত দেননি তিনি। অভিযোগে আরও জানা গেছে- চেক পাতাগুলো হারিয়ে গেছে মর্মে গত ১৬ মার্চ শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৮৮৪) করেন আসামুদ্দিন। তবে উল্টো ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামের আবদুর রহিম নামে একজনকে বাদি করে গত ৬ আগস্ট আদালতে আসামুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার চেকের মামলা (মামলা নং ২৭৫ সি/২০) করেন। এদিকে চেক পাতাগুলো উদ্ধারের জন্য আসামুদ্দিন বাদি হয়ে ৩রা সেপ্টেম্বর আদালতে (মামলা নং ৩৮২ সি/২০) মামলা করেন। এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি মামলা (মামলা নং ৪২৯ সি/২০) করেন আসামুদ্দিন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় আসামুদ্দিনের বাড়িতে চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজন ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন আসামুদ্দিন। গেল মৌসুমে আমবাগানের আম ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী আসামুদ্দিন বলেন, আমার সমস্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের যড়যন্ত্র করছে চেয়ারম্যান জুয়েল। প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করে তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি চক্র। যার কোন ভিত্তি নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ