মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই ৬শ’ ৪৪ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান ইতিমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন এবং তাদের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক এক ডজন বা ততোধিক প্রতিযোগিতামূলক রাজ্যে রয়েছেন, যেগুলি চ‚ড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবে যে, ৫০টি রাজ্য থেকে ৫শ’ ৩৮ জন ভোটার নিয়ে গঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের মধ্যে কে জয়ী হবেন এবং মহামারির প্রকোপ সত্তে¡ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটারদের উৎসাহটিও এবার সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যই ভোটের নিয়ম পরিবর্তন করেছে, যা লাখ লাখ আমেরিকানকে প্রথমবারের মতো ইমেইলে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এবং অনেকেই নির্বাচনের দিন ভোটারদের প্রত্যাশিত ভিড় এড়াতে আগেভাগেই ব্যক্তিগতভাবে ভোট দিচ্ছেন। ইউনাইটেড স্টেট্স ইলেকশন প্রজেক্ট (প্রারম্ভিক ভোট ২০২০) এবং কুক পলিটিকাল রিপোর্ট (প্রেসিডেন্ট রেটিং ২০২০) অনুসারে, তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত মোট ভোট ৩১.১ মিলিয়ন। গত ২২ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রদত্ত ভোটে খুব সম্ভবত বাইডেন জিতেছেন ২৪ মিলিয়ন ভোট এবং ট্রাম্প ৯.২ মিলিয়ন ভোট। আগাম ভোট দেয়ার বিষয়ে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের তুলনামূলক বেশি আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের ৫টি রণক্ষেত্রে দলটির নিবন্ধকরণের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ মিলিয়ন নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট রিপাবলিকানদের চেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। পেনসিলভেনিয়া, যেখানে ট্রাম্প ২০১৬ সালে স্বল্পভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, সেখানে এবার ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের তুলনায় ৩ গুণ বেশি ভোট প্রদান করেছেন। ফ্লোরিডা এবং উত্তর ক্যারোলাইনাতে তাদের প্রদত্ত ভোটের হার আরও বেশি।
জনবহুল টেক্সাসের আগাম ভোট ক্রমবর্ধমান কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যার কারণে এ বছর প্রতিযোগিতামূলক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজ্যটির প্রদত্ত ভোট ২০১৬ সালের মোট ভোটের ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। জো বাইডেনকে সমর্থন করার সম্ভাবনা বেশি এমন রাজ্যগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভোটের সন্ধান মিলছে। এসব রাজ্যের প্রদত্ত ভোট মোট ভোটের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি, যা ২০১৬ সালের ভোটের ৪৩ শতাংশ। নিউ ইয়র্কের মতো রাজ্যগুলোতে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে এ সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব রাজ্যে ট্রাম্পের পক্ষে বেশি ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব স্থানে আগাম ভোটের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। এসব রাজ্য ডেমোক্র্যাটপন্থী এবং তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ অনেক রাজ্যের তুলনায় কম জনবহুল। সুতরাং এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, তারা মোট আগাম ভোটের একটি ছোট অংশ। তবে, এই ছোট অংশের এবারের আগাম ভোটও ৪ বছর আগে ট্রাম্পকে দেয়া ভোটের শতাংশের তুলনায় কম। ট্রাম্প এর আগে ইমেইলে আগাম ভোট প্রদানের বিরোধিতা করলেও, নভেম্বর ৩ নির্বাচন অবধি তার পক্ষে ব্যাপক ব্যক্তিগত ভোটের আশা করছেন, যদিও এখন পর্যন্ত মোট আগাম ভোটে ডেমোক্র্যাটদের পাল্লাই ভারী বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইম্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।