পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে।বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের গুবাদলিতে আজারবাইজানের আক্রমণের মুখে ট্যাংক-গোলা ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে আর্মেনীয়দের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জামাদির একটি ভিডিও প্রকাশ করে। বুধবার আজেরি সংবাদমাধ্যম আজভিশন সেই ভিডিওটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। তিন মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েটি ট্যাংক, গোলাবারুদ, সামরিক জিপ, মেশিনগানসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি। এক মাসের বেশি সময় ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও হয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায়।কিন্তু অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুইটি দেশ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ফের দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসায় মস্কো। এর আগে এক খবরে বলা হয়, আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেনারা নাগোরনো-কারাবাখের আরেকটি শহর ছেড়ে চলে গেছে। কৌশলগত এই শহরের দখল নিতে পারা আজারবাইজানের জন্য চলমান সংঘর্ষে আরেকটি সাফল্য। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে নাগোরনো-কারাবাখ আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজান। এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃতি হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তা নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সোমবার জানান, ছিটমহলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুবাদলি থেকে সেনারা সরে গেছে অপ্রয়োজনীয় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে। মঙ্গলবার সকালেও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল বলে নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি ফ্রন্টলাইন এলাকায় সংঘাত কেন্দ্রীভ‚ত হচ্ছে। অপরদিকে, ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যে সংঘাত চলছে তা অবসানের জন্য তেহরান উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য কিছু পরিকল্পা গ্রহণ করা হয়েছে যার ম‚ল লক্ষ্য হচ্ছে দু›দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানো। রয়টার্স, ইরনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।