Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গুরুত্বপূর্ণ শহর লাচিনের নিয়ন্ত্রণ নিল আজারবাইজান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১১:১৮ এএম | আপডেট : ১:৩৪ পিএম, ২৭ আগস্ট, ২০২২

আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর সদস্যরা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর লাচিনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেখানে তাঁরা রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনীর পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করবে। ২০২০ সালে আর্মেনিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির আওতায় লাচিনের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে আজারবাইজান।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক লাচিনের নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার বিষয়টির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার এক টুইটে ইলহাম আলিয়েভে লিখেছেন, ‘আমরা আজারবাইজানিরা আবরও লাচিনে ফিরে এসেছি। আজারবাইজানের সেনাবাহিনী এখন লাচিনে অবস্থান করছে। জাবুখ এবং সুসের মতো গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করা হয়েছে।’
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, আজারবাইজানের সৈন্যরা সশস্ত্র অবস্থায় আজারবাইজানের পতাকা উড়িয়ে গাড়িতে করে অগ্রসর হচ্ছে। শহরটির প্রধান প্রধান দালানের ওপর আজারবাইজানের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ লাচিন একখণ্ড সরু পার্বত্য অঞ্চল। যা আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের অভ্যন্তরে অবস্থিত নাগোরনো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের মধ্যে একমাত্র যোগাযোগ রুট। ১৯৯৪ সালে সেখানে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পর থেকেই লাচিন আর্মেনিয়া সমর্থিত এথনিক আর্মেনিয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সেই যুদ্ধে শুধু নাগোরনো-কারাবাখ নয় আশপাশের ভূখণ্ডের বিশাল অংশ আর্মেনিয়রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া নতুন যুদ্ধে আজারবাইজানের সৈন্যরা আর্মেনিয়াকে পরাস্ত করে এবং নাগোরনো-কারাবাখের গভীরে প্রবেশ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
আজারবাইজানের অগ্রগতির কারণে আর্মেনিয়া ২০২০২ সালের ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়। যে চুক্তির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের নিয়ন্ত্রণ আজারবাইজানের কাছে ফিরে এসেছিল। ওই চুক্তির ফলে, নাগোরনো-কারাবাখের বাইরে যেসব এলাকা আর্মেনিয়রা দখল করেছিল তার নিয়ন্ত্রণ আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আজারবাইজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ