মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। শেষবেলার প্রচারে তাই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ট্রাম্প ও বাইডেন। আগাম জনমত জরিপে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প পিছিয়ে থাকলেও ভোটের স্রোত কোনদিকে গড়ায় এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা ও ক্যারোলাইনার মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে চরম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা আঁচ করা যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ জোরালো প্রচার। দুই প্রধান প্রার্থীর নির্বাচনী সফর পরিকল্পনায় বোঝা যায় আলাদা করে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টির গুরুত্ব।
গোটা দেশে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। তবে নির্বাচনের ফলের অর্ধেকটাই নির্ভর করছে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গাজ্যগুলো ঠিক কোন দিকে যায় তার ওপর। ট্রাম্প মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি রাজ্য মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেব্রাস্কায় যাচ্ছেন যেখানে তিনি ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাস্ত করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য এই ভোট সুরক্ষিত রাখতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প মিশিগান ও উইসকনসিনে পিছিয়ে আছেন। অবশ্য নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান রাজ্য নেব্রাস্কায় তিনি এগিয়ে আছেন।
এদিকে প্রকাশ্যেই আত্মবিশ্বাসী বাইডেন খানিকটা আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছেন। তিনি দক্ষিণের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দুই জায়গায় প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। ১৯৯২ সালের পর জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা জয়লাভ করেনি। জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ওই রাজ্যের ১৬টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পাবার জন্য বাইডেন ও ট্রাম্পের অবস্থান প্রায় একই স্থানে।
নিয়ম অনুযাযী, যে রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান সেই রাজ্যের সবকটি ইলেক্টরাল ভোট তিনিই জিতে নেন। ফলে ৫৩৮ সদস্য বিশিষ্ট ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক ২৭০টি ভোট পাবার জন্য ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ই উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ভণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। রিপাবলিকান অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের নভেল করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনা তাঁকে পরাজয়ের দিকে নিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়।
১৯৯২ সালের পর থেকে এই জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া। সেখানে গিয়ে বাইডেন বলেন, তিনি এমন একজন প্রেসিডেন্ট হবেন, যিনি বিভক্ত না করে বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার আগাম ভোটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। রেকর্ড ছয় কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ভোটার ডাকযোগে এবং সশরীরে আগাম ভোট দিয়েছেন।
তবে ব্যাপক আগাম ভোটের কারণে এবারের নির্বাচনের ফল ৩ নভেম্বর রাতে নাও জানা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চার কোটি ৬০ লাখের মতো ডাকে পাঠানো ভোট রয়েছে। এগুলো গণনা করতে সপ্তাহখানেকও লেগে যেতে পারে। শুরু থেকেই ডাকযোগে ভোটের সমালোচনা করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে বের হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে ব্যালট না গুণে ৩ নভেম্বর রাতে ভোটের ফল ঘোষণা করে দিলেই সবচেয়ে ভালো হবে।’ সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।