মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের প্রচার শিবির ইতিমধ্যে ৫৮২ বিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছে। গত বছর নির্বাচনী প্রচার শুরুর সময় থেকে এ অর্থ ব্যয়ের হিসেবে ধরা হয়েছে। একই সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত দুই বছরে তার পুনর্র্নিবাচনের প্রচারে ব্যয় করেছেন ৩৪২ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত টিভি এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে এত অর্থ কেউ ব্যয় করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রচারের অর্থ প্রবাহকে জয়ের জন্য বড় করেই দেখা হয়। কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও অর্থ ছাড়া মার্কিন নির্বাচনে পার পাওয়ার নজির কমই আছে। শুধু গত সপ্তাহে বাইডেনের প্রচার শিবির থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৪৫ মিলিয়ন ডলার। শেষ ১০ দিনে আরও ৫৭ মিলিয়ন ডলারের এয়ার টাইম বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে। অ্যাডভারটাইজিং অ্যানালিটিকস নামের অলাভজনক একটি সংস্থা প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মূল প্রচার শিবিরের বাইরে উভয় প্রার্থীর সমর্থনে তৃতীয় পক্ষও বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা এমনই হয়ে উঠেছে যে, বাইডেনের সমর্থক গোষ্ঠীর টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচারের আরও ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করার কথা জানা গেছে। একইভাবে ট্রাম্পের সমর্থক গ্রুপগুলো নির্বাচনের আগে অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন ডলারের এয়ার টাইম বুক করে রেখেছে। দুই দলের প্রচার শিবির থেকে গত সপ্তাহে টিভি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। ফেসবুক ও গুগল বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের প্রচার শিবির একই সময়ে ব্যয় করেছে ১৪ মিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে এ দুই মাধ্যমে ১২ দশমিক সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে বাইডেনের প্রচার শিবির।
ওয়েসলেয়ান মিডিয়া প্রজেক্ট নামের একটি সংস্থার মতে, অক্টোবর মাস থেকে দুই দলের প্রচার শিবির সপ্তাহে এক লাখের বেশি টিভি বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। অধিকাংশ বিজ্ঞাপনই প্রচারিত হয়েছে অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও আইওয়া রাজ্যে। এ তিনটি রাজ্যেই ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা রাজ্যগুলোতে জয় পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখানে জনমত জরিপ এখন পর্যন্ত বাইডেনের পক্ষেই আছে। আবার ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে এ তিনটি রাজ্য ধরে রাখার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছে।
শুধু গত সপ্তাহে বাইডেনের প্রচার শিবির থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৪৫ মিলিয়ন ডলার। শেষ ১০ দিনে আরও ৫৭ মিলিয়ন ডলারের এয়ার টাইম বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে। আর ট্রাম্পের সমর্থক গ্রুপগুলো নির্বাচনের আগে অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন ডলারের এয়ার টাইম বুক করে রেখেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ২০২০ সালের নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতে পারে। নির্বাচনের মোট ব্যয় ১১ বিলিয়ন হতে পারে। সেন্টার ফর রেসপন্সিভ পলিটিকস নামের একটি সংস্থার মতে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের প্রার্থীরা গত সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত সাত দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ফেলেছেন। সংস্থাটি ধারণা করছে, নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত ১০ দশমিক আট বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।
এদিকে প্রচারের অর্থ সংগ্রহে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত ও শেষ বিতর্কের পর তাদের অর্থ প্রবাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রচার তহবিল সংগ্রহে অক্টোবর মাসকে তারা একটি সফল মাস হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।