Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত: কর্ণাটক হাইকোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ২:৪১ পিএম

সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে ফাঁসির বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে। এবার সেই একই মত প্রকাশ করল ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট। তাদের মতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) ধারা সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড ধার্য করা উচিত। ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে এই মত পোষণ করে আদালত।

স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরও নারীদের নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ করে বিচারপতি বি ভীরাপ্পা ও কে নটরাজনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই কারণে লিঙ্গসাম্যের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা ও মহিলাদের সম্মান করার উপর জোর দেন বিচারপতিরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) ধারা গণধর্ষণের অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার কথা লেখা আছে। ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাইসুরু ও রামনগর জেলার রামু, শিবান্না, মাদ্দুরা, এলেইয়াহ, এরাইয়াহ, ডোড্ডা ও রাজাকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর নবম অ্যাডিশনাল সিটি সিভিল সেশন জাজ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, হাইকোর্টে আবেদন করেছিল অপরাধীরা। আগের রায়কেই বহাল রেখেছে কর্নাটক হাইকোর্ট।

সেই মামলায় আদালত বলেছে, ‘যখন একজন নারীকে নির্যাতন করা হয়, তখন শুধু তার শারীরিক ক্ষতের সৃষ্টি হয় এমন নয়, বরং তার লজ্জার উপর মৃত্যুর মতো গভীর আঘাত করা হয়। নির্ভয়া ও এই মামলার ক্ষেত্রে একটাই তফাৎ, নৃশংস অত্যাচারের পর নির্ভয়া মারা গিয়েছিল, আর এ ক্ষেত্রে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে ধর্ষিতা।’ আদালতের কথায়, ‘আইনের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের দ্বারা শুধু তার উপরই অপরাধ করা হয়নি, গোটা নাগরিক সমাজকে আঘাত করা হয়েছে। সমাজকে ন্যায়বিচার দিতে এই অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার।’ সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ