মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘ফুড পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের গ্রামে ৭৫ শতাংশের পুষ্টিকর খাবার জোটে না, অর্থাৎ দেশটির গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জনেরই পুষ্টিকর খাবার জোটে না। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের সাম্প্রতিক তালিকাতেও ভারতের অবস্থান বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এমনকি পাকিস্তান থেকেও নিচে। খবর আনন্দবাজারের।
অথচ নরেন্দ্র মোদির শাসনাধীন সরকার বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, তার সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা অনেকগুণ বেড়েছে। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, গেলো ৬ মাস ধরে খাদ্য নিরাপত্তায় ভারতের অবস্থান ক্রমশ পিছিয়েছে।
বার্ষিক বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশেরও পিছনে চলে যাওয়ায় বিরোধীদের আক্রমণের মধ্যেই সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় দেখা গেল ‘মহাশত্রু’ চীন তো দূর, ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানেরও পিছনে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। এমনকি শ্রীলক্ষা, নেপালেরও পিছনে দেশ।
ভয়াবহ অপুষ্টিই তাঁদের যাবতীয় রোগের কারণ। শুধু তা-ই নয়, গবেষণাপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতের গ্রামাঞ্চলের মানুষ যদি তাঁদের আয়ের পুরোটাই খাবারের জন্য খরচ করেন, তা হলেও প্রতি তিন জনের মধ্যে দু’জন সবচেয়ে সস্তার পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন না।
মোদীর ছ’বছরের শাসনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তথ্য-পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, গত ছ’বছরে এই ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই পিছিয়েছে। দেশের গ্রামীণ জনসংখ্যা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষাগুলি তৈরি করা হয় যে সব মানদণ্ডের ভিত্তিতে, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর (আইএফপিআরআই) এই গবেষণা তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে আরও বেশি মানুষকে সমীক্ষার আওতায় এনেছে।
গবেষণায় শিল্পশ্রমিকদের পাশাপাশি অদক্ষ কর্মী, শ্রমিকদের গড় দৈনিক বা মাসিক আয়ের মানদণ্ডটিও ব্যবহার করা হয়েছে। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে ধরা হয়েছে ডেয়ারিজাত দ্রব্য, ফল, টাটকা আনাজ ও শাকসব্জিকে। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।