Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কারফিউতে রাতের প্যারিস ফাঁকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

আটটি শহরসহ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের রাস্তা খা খা। শনিবার রাত থেকে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ইউরোপে নতুন করে করোনা ভাইরাসের হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে যেসব দেশকে, তার মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। তবে সরকারের এমন পদক্ষেপে খুশি নন রেস্তোরাঁ মালিকরা। তারা এই বসন্তে দুই মাসের লকডাউন পালন করেছেন। তারপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবার খোলার পর নতুন করে দেয়া হয়েছে কারফিউ। এতে বাণিজ্যে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তা সত্তে¡ও জনগণকে বাঁচাতে সরকার কারফিউয়ের আশ্রয় নিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ওদিকে ইতালিতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা। প্রথম দফায় যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে তখন সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ইতালিতে আঘাত করে তা। আবার নতুন করে সেখানে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শনিবার সেখানে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আজ রোববার নতুন পদক্ষেপ ঘোষণার কথা রয়েছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কোন্টে’র। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নতুন বিধিনিষেধের মধ্যে জিম, পুল, বিভিন্ন রকম খেলাধুলার ইভেন্ট সহ অত্যাবশ্যক নয় এমন খাতগুলোকে টার্গেট করা হতে পারে। অন্যদিকে মাসেইলি, লিওন, লিলি, তোলুজ সহ রাজধানী প্যারিসে মাসব্যাপী কারফিউ দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। এর আওতায় রয়েছেন প্রায় দুই কোটি মানুষ। এই কারফিউ প্রতিদিন স্থানীয় সময় রাত ৯টায় শুরু হয়ে ভোর ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীতে উপচে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে এই কারফিউ প্রয়োজন। তবে এতে ব্যবসা যে মারাত্মক ক্ষতিতে পড়বে সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন বহু মানুষ। প্যারিসে ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ বিয়ানকো’র ম্যানেজার স্টেফানো আনসেলমো বলেছেন, এই বিধিনিষেধে অনেক কর্মী কাজ হারাবেন নিশ্চিত। এটা এক বিপর্যয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শনিবার একদিনে সেখানে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪২৭ জন। এর একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৬।

স্লােভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইগোর মাতোভিচ বলেছেন, তার দেশে ১০ থেকে শুরু করে তদুর্ধ্ব বয়সী প্রতিজনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার জন্য সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ মাসে একবার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। তবে এ সপ্তাহে নতুন করে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। এর আওতায় চার্চে প্রার্থনাসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফিটনেস সেন্টার, পুল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘরে বসে স্কুলের পড়াশোনা করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাতোভিচ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পরীক্ষা করা হবে বিনাম‚ল্যে। তবে এই পরীক্ষা বাধ্যতামুলকভাবে নাকি স্বেচ্ছায় নাগরিকরা করাবেন সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, যদি আমরা এটা করতে পারি, তাহলে তা পুরো বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই দেশটিতে জনসংখ্যা ৫৪ লাখ। সরকার নতুন করে শনিবার বিধিনিষেধ আরোপ করায় এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে প্রায় ৫০০ নিও-নাৎসী এবং ফুটবলের কট্টর কিছু ভক্ত। তারা রাজধানী ব্রাতস্লোভায় বিভিন্ন সরকারি ভবনে বোতল ও পাথর নিক্ষেপ করেছে। জার্মানিতে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল জনগণকে ঘরের ভিতর অবস্থান করার আহবান জানিয়েছেন। সাপ্তাহিক ভিডিও পোডকাস্টে তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া প্রতিরোধ করতে আমরা সব কিছু করবো। প্রতিটা দিনে কম সংখ্যক মানুষের সঙ্গে সাক্ষাত করুন- হোক সেটা বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে। অত্যাবশ্যক নয় এমন যেকোনো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারফিউ

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ