চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক-এর নবনির্বাচিত সভাপতি মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান যাত্রাবাড়ী হুজুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হককে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা আশা করব নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বেফাকের নীতিমালা অনুসরণ করে বেফাককে সুষ্ঠুভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করবেন। বেফাক যেহেতু অরাজনৈতিক একটি প্লাটফর্ম এবং শিক্ষা বোর্ড, তাই শিক্ষার মান্নোনয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কাজ করবেন। নেতৃদ্বয় বলেন, বেফাকের নবনির্বাচিত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান যেহেতু একজন প্রবীণ ও প্রথিতযশা আলেমেদীন, সেহেতু বেফাককে অতীতের সকল কালিমা থেকে রক্ষা করে সকলকে নিয়ে সামনে চলবেন এটাই জাতির প্রত্যাশা। আমরা বেফাক ও নেতৃবৃন্দের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে দীনের জন্য খালেসভাবে কাজ করার তওফিক দিন, আমীন।
নবনির্বাচিত বেফাক নেতৃবৃন্দকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক-এর নবনির্বাচিত সভাপতি মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান যাত্রাবাড়ী হুজুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হককে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আজ এক শুভেচ্ছা বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, নতুন নেতৃত্ব বেফাকের ঐতিহ্য বজায় রেখে নীতিমালা অনুসারে পরিচালনা করে বেফাক বোর্ডকে একটি শিক্ষার জগতে মডেল বোর্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত বেফাক নেতৃবৃন্দের সফলতা কামনা করেন।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (র:) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরণ স্বচেষ্ট ছিলেন। তিনি তার লেখনী, বক্তৃতা ও আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাসি মুসলমানদের সামনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করেছেন; যা ইতপূর্বে এতদাঞ্চলের অনেক আলেমের নিকটও অস্পষ্ট ছিল। একই লক্ষ্য অর্জনে তিনি ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন এবং বারবার ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রচলিত রাজনীতির ডামাঢোলে সেই ঐক্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মাওলানা আবদুর রহীম (রহ) বাতিলের সাথে কখনো আপস করেননি। তিনি ইসলামকে রাজনীতির কাছে পরাজিত করেননি; বরং রাজনীতিকে ইসলামের কাছে পরাজিত করেছেন। তিনি প্রচলিত রাজনীতির ব্যর্থতা তুলে ধরে লিখে গেছেন ইসলামী রাজনীতির ভূমিকা, প্রচলিত রাজনীতি নয় জেহাদই কাম্য, গণতন্ত্র ও শূরা-ই নিজাম, বলেছেন, গণতন্ত্র নয় চাই পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লব, একটি ইসলামী বিপ্লব ছাড়া এ জাতির মুক্তির কোনো পথ নেই। তিনি বিশ্বাস করতেন গণতন্ত্র দিয়ে আর যাই হোক ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে না; বরং গণচেতনা, গণসংগঠন, গণপ্রতিরোধ ও গণঅভ্যুত্থানই হলো ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন মঞ্জিল। নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম মাওলানার এই চিন্তা চেতনার আলোকেই আমরা ইসলামী ঐক্য আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন, আলেম-ওলামা ও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা মাওলানা আবদুর রহীম (র:) এর চিন্তা চেতনার সাথে পরিচিত হই এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা না হওয়ার বাধাগুলো চিহ্নিত করে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।