Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজিডিসিএল কর্মচারীর আলিশান বাড়ি

১৮ ফ্ল্যাটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নাম তার হাতেম আলী। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) রাজস্ব শাখার কর্মচারী। কুমিল্লা নগরীর ইপিজেডের প্রধান গেইট সড়কের উত্তর পাশের্^ দক্ষিণ চর্থা এলাকায় মনু মিয়া চেয়ারম্যান সড়কের শেষ প্রান্তে মোল্লা হাউজ নামের আলিশান পাঁচতলা বাড়িটিই হাতেম আলীর। সেখানে মিলেছে দ্বৈত ১৮ চুলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
কয়েক বছর আগ থেকেই হাতেম আলীর চার ইউনিটের পাঁচতলা বাড়িটির ১৮ ফ্ল্যাটের দ্বৈত ১৮ চুলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের আগুন জ¦লে। ৯দিন আগে বাখরাবাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভ্রাম্যমাণ টিম হাতেম আলীর বাড়ির বৈধ দুইটিসহ অবৈধ ১৮টি দ্বৈত চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর ধরে হাতেম আলী প্রতিমাসে গ্যাস বিল পরিশোধ করেন বৈধ দুইটি দ্বৈত চুলার। আর অবৈধ ১৮ চুলার গ্যাস চুরির লাখ লাখ টাকা হজম করতেন। গত ৪ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাখরাবাদের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ভ্রাম্যমাণ একটি দল প্রকৌশলী বাপ্পী শাহরিয়ার, বিক্রয় শাখার মোবারক হোসেন ও হিসাব শাখার শাফায়াত হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিণ চর্থা এলাকায় হাতেম আলীর মালিকানাধীন মোল্লা হাউজে অভিযান চালায়। এসময় বৈধ দ্বৈত দুইটি চুলার অতিরিক্ত আরো ১৮টি অবৈধ দ্বৈত চুলার অস্তিত্ব আবিস্কার করে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ভ্রাম্যমাণ দল। পরে অবৈধসহ পুরো বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। একই সাথে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব শাখার কর্মচারী হাতেম আলীর এঘটনা বাখরাবাদ গ্যাসের উর্ধ্বতন কর্মমর্তাদের অবহিত করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও হাতেম আলীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কুমিল্লার চাপাপুরে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারীরদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, বাখরাবাদের লোক হয়ে বাখরাবাদের গ্যাস চুরির ওই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দরা। স্থানীয় লোকজন এ ধরনের অসাধু কর্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাখরাবাদ অফিসে শুদ্ধি অভিযান চালানোর দাবি করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা সাধারণ কোন গ্রাহকের বাড়িতে ঘটলে ততোক্ষণে জেল-জরিমানা হয়ে যেতো।
এ বিষয়ে অবৈধ সংযোগ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া হিসাব শাখার শাফায়াত হোসেন বলেন, মোল্লা হাউজ নামের বাড়িটিতে ১৮টি চুলায় অবৈধ সংযোগ পেয়েছি। আর দুইটি বৈধ সংযোগ ছিল। বাড়িটিতে দ্বৈত চুলার মোট ২০টি সংযোগই বিচ্ছিন্ন করেছি। বাড়িটির মালিক বাখরাবাদ গ্যাসের হিসাব শাখার কর্মচারী হাতেম আলী। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই গ্রহণ করবেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্ল্যাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ