পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বিশেষ কোনো সুবিধা বা কোটার আওতায় সংসদ সদস্যরা (এমপি) ফ্ল্যাট পাবেন না বলে জানিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা বা কোটা রাখা হয়নি। সব শর্ত পূরণ করে যেকোনো সংসদ সদস্য সাধারণ জনগণের মতোই এসব ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। গত সোমবার চলতি অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এমপিদের ফ্ল্যাট দেওয়ার পরে প্লট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
ওই দিন সংসদে মন্ত্রী বলেন, রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) অধীনে প্রায় ১ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হবে। সহজ শর্তে এসব অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে। এসব অ্যাপার্টমেন্টে ৪ বছরের অর্ধেক টাকা দেবে, আর বাকি টাকা ২৫ বছরে সাড়ে ৮ শতাংশ সার্ভিস চার্জে দেওয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যেসব সংসদ সদস্য আমার কাছে জমি চাচ্ছেন, আমি মনে করি জমি না নিয়ে এ সুযোগ গ্রহণ করুন, অ্যাপার্টমেন্ট নেন। তার এই প্রস্তাব নো নো বলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সংসদ সদস্যরা। এমপিরা চান প্লট। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য কথা বলা বন্ধ করে দেন মন্ত্রী।
পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার হস্তক্ষেপে আবার বক্তৃতা শুরু করে মন্ত্রী বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরেও আমি নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এ নিয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখানে প্রায় ২ হাজার ২০০ একরজমির উপর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরে সেখানেও আপনাদের প্লট দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল বুধবার ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সংসদ সদস্যদের জন্য ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দ পাওয়া সংক্রান্ত সংবাদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বিশেষ কোনো সুবিধা বা কোটার আওতায় সংসদ সদস্যরা ফ্ল্যাট পাবেন না।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা শহরে কয়েকটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তুলেছে। এসব এলাকায় বর্তমানে কোনো আবাসিক প্লট বিক্রি অবশিষ্ট নেই। অপরদিকে স্বল্প পরিমাণ জমিতে অধিক লোকের বসবাসের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্বের ১৮ নম্বর সেক্টর, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট সর্বসাধারণের মধ্যে সহনীয় মূল্যে বিক্রি করা হবে। ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা বা কোটা রাখা হয়নি। সব শর্তপূরণ করে যেকোন সংসদ সদস্য সাধারণ জনগণের মতোই এসব ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, যেহেতু এসব ফ্ল্যাট জনগণের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে, সে হিসেবেই গণপূর্তমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাট কেনার জন্য বলেছেন। বিশেষ কোনো সুবিধা বা কোটার আওতায় তারা ফ্ল্যাট পাবেন না।এতে আরও বলা হয়েছে, রাজউকের চলমান পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্পে বর্তমানে কোনো অবিক্রিত আবাসিক প্লট নেই। ফলে সংসদ সদস্যরা প্লট কেনায় আগ্রহী হলেও তাদের জন্য কোনো প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে রাজউক কোনো আবাসিক এলাকার প্রকল্প গ্রহণ করলে সেখানে সাধারণ জনগণের মতো সংসদ সদস্যরাও আবেদন করতে পারবেন। শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তারা প্লট গ্রহণের সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা রাখা হয় না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পূর্বাচল প্রকল্পের শর্তে ঢাকা শহরের আবাসিক ফ্ল্যাটের মালিকরা প্লটের জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ফলে ভবিষ্যতে আবাসিক প্লট প্রকল্পে অনুরূপ সুযোগ রাখা হলে, তা শুধু সংসদ সদস্যদের জন্য নয়, সাধারণ জনগণও সে সুযোগ পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।