Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক জুমার খুতবায় হস্তক্ষেপ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। ৯২% মুসলমানদের দেশে জুমার খুতবা নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এভাবে চলতে দেয়া হলে এক সময় প্রকৃত ধর্ম পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে। ধর্মের বিভিন্ন শাখায় পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়ে জাতির সামনে ধর্মের একটি বিকৃতরূপ উপস্থাপিত হবে। হারিয়ে ফেলবে মুসলমানরা তাদের নিজস্ব স্বক্রিয়তা। সুতরাং এখনই সময় এর তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, বিতর্কিত শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতির কারণে মুসলমান জাতীকে একটি বিজাতীয় জাতিতে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে ডালপালা বিস্তার করতে শুরু করেছে। সুতরাং এ বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ ও এ নীতির আলোকে প্রণীত খসড়া শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দেশের জনগণকে এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদেরকে অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেছেন, গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার সাথে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বা আলেম সমাজ এবং ইসলামের কোনোরূপ সম্পর্ক নেই। সেখানে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এর জন্য ইসলামকে দায়ী করা হচ্ছে। কেননা, এ ঘটনার পরপর সরকার দলীয় লোকদের মুখ থেকে জুমার খুতবার ওপর নজরদারি করার কথা উচ্চারিত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে দেশের সব মসজিদে একই খুতবা চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে নিষেধের দায়িত্ব মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকের ওপর অর্পিত এবং এই দায়িত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারে না। আলেম সমাজ, বিশেষ করে মসজিদের ইমামগণ শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন যদি সব জুমা নামাজের জন্য একই খুতবা চালু করা হয়, তাহলে এর অর্থ হবে, সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধাদানের দীনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া এবং আলেম সমাজের কণ্ঠ চেপে ধরা। কাজেই সম্মানিত ইমাম ও মুসল্লিগণ এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না। তিনি বলেন, এর দ্বারা অপর যে বার্তাটি বহির্বিশ্বে দেয়া হবে তা হলো, এদেশের মসজিদগুলো বুঝি জঙ্গিবাদ তৈরির কারখানা। দেশের মানুষ এ ধরনের পদক্ষেপকে মোটেও ভালোভাবে নেবে না। বরং তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষকে জোরপূর্বক সরকারের প্রতিপক্ষের কাতারে ঠেলে দেয়া হবে।
তিনি সম্প্রতি সংগঠনের মজলিসে আমলের (কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ) মাসিক সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন, পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা এনামুল হক আজাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, অর্থ-সম্পাদক মোস্তফা শহীদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা ফারুক আহমাদ, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঞা।
ইসলামী ছাত্রসমাজ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও চাকমারকুল ইউনিয়ন শাখা কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের রামু উপজেলা সমন্বয়কারী মুহাম্মদ দিদারুল আলম। চাকমারকুল ইউনিয়নে প্রধান বক্তা ছিলেন, সাবেক ইসলামী ছাত্রসমাজ নেতা মাওলানা হুমায়ুন কবির।
সম্প্রতি হাফেজ শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, রামু কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, আহ্বায়ক হাফেজ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ মুহাম্মদ ইবরাহীম, হাফেজ মুহাম্মদ শহীদ, সদস্য সচিব মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, সদস্য হাফেজ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, হাফেজ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল মালেক, মুহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী কর্মতৎপরতা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ