Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জর্ডানে কোরআন প্রতিযোগিতায়
বাংলাদেশের সোলাইমান তৃতীয়
জর্ডানে আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী হাফেজ ৭০টি দেশের হাফেজদের পরাজিত করে সোলাইমান হাওলাদার গত ২৬ রমজান জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর কাছ থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনের পুরস্কার গ্রহণ করেন। এর আগেও তিনি তুরস্ক ও মিসরে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন এবং নতুন মুসলিম রাষ্ট্্র হিসেবে পরিচিত গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। তিনি ভোলা জেলার কুয়েত প্রবাসী হাজী আলমগীর ও গোলেনূর বেগমের চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয়। এ ছাড়াও তাদের আরো এক সন্তান হাফেজে কোরআন, সে আলহাজ হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত যাত্রাবাড়ীর বিশ্বসেরা হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অত্র মাদরাসার ছাত্ররা সউদি আরব, মিসর, আলজেরিয়া, লিবিয়া, ইরান, দুবাই, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, গাম্বিয়া ও জর্দানে একাধিকবার বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সম্মানকে সমুজ্জ্বল করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মাহে রমজানে প্রচারিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে আসছে। যার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ও সউদি সরকার এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ কারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী ও তার বিশ্বজয়ী ছাত্রদের হাতে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী-রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনরচিত বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজন করা হয়েছে যা ৯৫% মুসলমানের ঈমান ও আমলে চরম আঘাত। তিনি বলেন, গরুকে মা সম্বোধন করে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্বাদ শিখানো হচ্ছে। দেবদেবির নামে বলি দেয়া গরু বা পাঠা হালাল বলে শিখানো হচ্ছে। এভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময়ই বলে থাকেন আমি মুসলমান। আমি নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি এবং নাস্তিকদের ব্যাপারে বলেছেন ধর্মের উপর আঘাত করলে আমারও গায়ে লাগে। কাজেই ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে ছাড় দেয়া হবে না। অপরদিকে শিক্ষা আইন, শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদের দিকে নিয়ে যাওয়া কার স্বার্থে। এসব অবিলম্বে বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।
সম্প্রতি রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত বিশাল গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে নগর সেক্রেটারী আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও এইচ এম সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, শিক্ষক নেতা এবিএম জাকারিয়া, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সৈয়দ ওমর ফারুক প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্ষমতাসীন ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ বাস্তবায়নে ইসলাম ও ইসলামই একমাত্র বাধা। তাই তারা সিলেবাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের ঈমান ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদে ধাবিত করতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌনাচার শিক্ষার নামে অবাধ যৌনাচারে উদ্বুদ্ধ করছে।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নাস্তিক হওয়ায় তিনি কৌশলে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সিলেবাসে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী কর্মতৎপরতা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ