মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হাথরস গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছ থেকে শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হল। ফলে, এই মামলার বাকি তদন্তের কাজ সম্পন্ন করবে তারা। কয়েক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছিলেন, সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলার তদন্তভার তুলে দেয়া হবে। তার প্রেক্ষিতেই শনিবার এই মর্মে একটি নোটিফিকেশন জারি করে কেন্দ্র।
নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, হাথরস মামলায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দায়ের করা এফআইআর রোববার নতুন করে নথিভুক্ত করে সিবিআই। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করল তারা। তবে, বিশেষ তদন্তকারী দল, সিটের তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না। পৃথক ভাবে তদন্ত শেষ করে যোগীর কাছে রিপোর্ট জমা দেবে সিট। শনিবার উত্তরপ্রদেশ স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ কুমার আওস্থি ও ডিজিপি হীতেশ চন্দ্র আওস্থি নির্যাতিতা দলিত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সিবিআইয়ের হাতে মামলা হস্তান্তরের কথা জানিয়ে আসেন। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ নিজেও ট্যুইট করে জানিয়ে দেন, হাথরসের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, এই জঘন্য অপরাধের জন্য দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক সাজা পাবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণধর্ষণের শিকার হন হাথরসের এক দলিত পরিবারের বছর উনিশের তরুণী। পৈশাচিক অত্যাচারের জেরে ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই রাতেই হাথরস পুলিশ অত্যন্ত গোপনে তরুণীর সৎকার সম্পন্ন করে। অভিযোগ, পরিবারের লোকজনকেও শেষকৃত্যের সময় সেখানে থাকতে দেয়া হয়নি। এমনকী পরিবারের অনুমতি না নিয়ে অনাথের মতো তার শেষকৃত্য করা হয়। মিডিয়ার দৌলতে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। অভিযুক্তরা উচ্চ বর্ণের হওয়ায় পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদেরও কেউ কেউ ধর্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নির্দোষ হিসেবে দাবি করতে থাকেন। ফলে দেশজুড়ে হাথরসের ঘটনা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। দিল্লির নির্ভয়ার মতোই ভারতের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দানা বাঁধে। বাধ্য হয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন যোগী আদিত্যনাথ। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সিটের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে হাথরসের পুলিশসুপার-সহ একাধিক পুলিশ অফিসারকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করেছেন যোগী।
কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায়, নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলে সিবিআইকে দিয়ে হাথরসের তদন্ত করানোর কথা ঘোষণা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তদন্তে আদৌ নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে নানা মহল প্রশ্ন তোলে। এমনকী নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যরাও সিবিআইয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ধর্ষিতা তরুণীর ভাই জানান, সিট যখন তদন্ত করছে, তখন আলাদা করে সিবিআই কেন? বরং সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিটকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তোলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণও করেছে। তবে, এ নিয়ে শুনানি এখনও শুরু হয়নি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।