বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনী শহরের পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন মনির উদ্দিন সড়কের তাসপিয়া ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংকের র্ভিতর থেকে গতকাল শনিবার রাত ১১ টার দিকে মো: ইউনুস বাবু (২২) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আতাউর রহমান। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলমীর হোসেন,শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায়সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
এর আগেরদিন শুক্রবার একই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় মো: শাহরিয়ার নামের অপর এক যুবককে উদ্ধার করে পুুলিশ। পরে তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
বাবু চীনের আহোট ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতেন। সে শহরের শাহীন একাডেমী সড়কের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ী সোনাগাজী উপজেলার তাকিয়া বাজারের পাইকপাড়ায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ভবনের কেয়ারটেকার শাহীনকে আটক করেছে। সে সময় তার কক্ষ থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো চাপাতি জদ্ধ করা হয়। পুলিশ ধারনা করছে কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহীন এদের দুজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সেপটিক ট্যাংকে নিক্ষেপ করে।
এদিকে পুলিশ ও বাবুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবু ও শাহরিয়ার দুজনে একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন বের হন। পরে শুক্রবার শাহরিয়ারকে আহতাবস্থায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করার পর বাবুকে খুঁজে না পাওয়ায় তার পরিবার চিন্তায় পড়ে যান। এ ঘটনায় বাবুর মা রেজিয়া বেগম শুক্রবার রাতে বাবুর বন্ধু শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বাবুর কোন খোঁজ না মিললে রেজিয়া বেগমের সন্ধেহ হয়, সেপটিক ট্যাংকে তার ছেলে থাকতে পারে, তখন সে পুলিশকে অনুরোধ করে সেপটিক ট্যাংকটির ভিতরে আবার পুনরায় যেন তল্লাশী করে। পরে শনিবার রাতে পুলিশ ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশী চালিয়ে বাবুর অর্ধগলিত লাশের সন্ধান পায়। বাবুর অর্ধগলিত লাশটি তার পরিবার শনাক্ত করার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
বাবুর ছোট ভাই বাপ্পী জানান, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে রাকিব ও শাহরিয়ার নামে তার ভাইয়ের দুই বন্ধু ফোন করে বাসা থেকে ভাইয়াকে ডেকে নেয়। পরে ভাইয়া আর বাসায় ফেরেনি।
তাসপিয়া ভবনে বসবাসরত এক বাসিন্দা জানান, বাবু ও শাহরিয়ার এরা দুজন প্রায়ই কেয়ারটেকার শাহীনের কাছে আসতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও এসেছিলেন। কিন্তু শাহিনের সাথে তাদের কি সম্পর্ক ছিল তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
পুলিশ জানায় আজ রবিবার গ্রেফতারকৃত ভবনেরর কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহীনকে আদালতে তোলা হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।