Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আসামে সরকারী মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৫৭ পিএম

ভারতের আসাম রাজ্যের সকল মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার আসামের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা দিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার আসামের সমস্ত সরকারী মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবে কারণ, জনসাধারণের অর্থ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, আগামী মাসে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মাদ্রাসা বন্ধ করা হলেও সরকারী ‘টোল’গুলো (হিন্দু ধর্ম শিক্ষা দেয়ার প্রতিষ্ঠান) বন্ধ করার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে শর্মা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, সরকার কেবলমাত্র সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলি নয়, সরকারী ‘টোল’ বন্ধ করার পরিকল্পনাও করেছে। তারপরে তিনি এই সিদ্ধান্তকে ন্যায্য দাবি করে বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে সরকারী তহবিল দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া যায় না।

তবে বৃহস্পতিবার শর্মা বলেন, ‘কোনও তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারী অর্থায়নে কাজ করতে দেয়া হবে না। আমরা এই বিষয়ে নভেম্বর মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। তবে বেসরকারীভাবে চালিত মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।’ তিনি বলেন, ‘সরকারী টোলের বিষয়টি আলাদা। টোলগুলোর বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে এগুলি স্বচ্ছ নয়। আমরা এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।’

এই বক্তব্যের পরপরই, এআইইউডিএফ সুপ্রিমো এবং লোকসভার সাংসদ বদরুদ্দীন আজমল বলেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার যদি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেয় তবে তার দল আগামী বছরের শুরুর দিকে বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পরে সেগুলো আবার খুলে দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি মাদ্রাসা বন্ধ করতে পারবেন না। বর্তমান সরকার যদি এগুলি জোর করে বন্ধ করে দেয় তবে আমরা ক্ষমতায় আসার পরে, ৫০-৬০ বছরের পুরানো এই মাদ্রাসাগুলো পুনরায় চালু করার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রসঙ্গত, আসামে ৬১৪ টি সরকারী ও প্রায় ৯০০ টি বেসরকারী মাদ্রাসা রয়েছে। যার প্রায় সবই জমিয়ত উলামা দ্বারা পরিচালিত হয়, অথচ প্রায় ১০০ টি সরকারী সংস্কৃত টোল এবং ৫০০ এর বেশি বেসরকারী বিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্য মাদ্রাসাগুলিতে সরকার বার্ষিক প্রায় তিন কোটি থেকে চার কোটি রুপি এবং সংস্কৃত টোলগুলিতে বছরে প্রায় এক কোটি রুপি ব্যয় করে। দু’বছর আগে, রাজ্য সরকার দুটি নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ড - রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং আসাম সংস্কৃত বোর্ডকে বাতিল করে দেয়। এরপরে, মাদ্রাসাগুলোকে আসামের মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (শেবা) এবং সংস্কৃত টোলগুলোকে কুমার ভাস্কর ভার্মা সংস্কৃত ও প্রাচীন বিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারের যুক্তি ছিল, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করে মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারবে। সূত্র: টিওআই।



 

Show all comments
  • habib ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২২ পিএম says : 0
    Bangladesher Netara Ekhon Ki Bolben?
    Total Reply(0) Reply
  • alu ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৪৬ পিএম says : 0
    অই বিজেপি সরকারই টাকা কি খালি হিন্দুদের টাকা?মুসলিমদের থেকে তোরা টাকা পাস না?
    Total Reply(0) Reply
  • Jack Ali ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৮:০৯ পিএম says : 0
    O'Muslim when you will wake up?????????
    Total Reply(0) Reply
  • Mojamal sk ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
    মাদ্রাসা বন্ধ করার আগে যারা বিদ্যুতের বিল না দিয়ে পূজা মন্ডপে লাইটিং করে ,জোর করে চাঁদা তোলা মদখেয়ে মাতলামি করা জনসাধারণের রাস্তার উপরে পূজা করা গঙ্গানদীতে বা পুকুরে মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দূষণ করা বোমা আতসবাজি দিয়ে বায়ু দূষণ করা সবকিছু আগে বন্ধ করতে হবে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ