মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের রাথেদাউং টাউনশিপে সামরিক বাহিনী (তাতমাদাও) ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে বহু হতাহত হয়েছে। রাথেদাউং টাউনশিপের কিয়াউকতান ও অংথারজি গ্রামের কাছে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং সোমবার পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন। রাথেদাউংয়ের উচ্চ কক্ষের এমপি উ খিন মাউং লাত দ্য ইরাবতিকে বলেন, “তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে, রাথেদাউংয়ে এর আগে সম্ভবত এমন তীব্র সংঘর্ষ আর হয়নি। সোমবার সামরিক বাহিনী বিমান থেকে বোমা ফেলে এবং প্রতিদিনই শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে”। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দুই পক্ষই কিয়াউকতান আর তিসওয়ে গ্রামের মাঝখানে অংথারজির কাছে একটি পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে। কিয়াউকতান গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন: এই গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। আইডিপি ক্যাম্পের ঝামেলার কারণে গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন মাত্র সেখানে ফিরে গেছে। আমার মনে হয় তারা লড়াইয়ের কারণে গ্রামে আটকা পড়েছে। ভারি কামান আর জঙ্গি বিমানের শব্দ শুনেছি আমরা। আমি গ্রামের পরিস্থিতির খবর জানি না। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাউ মিন তুন বলেন সংঘর্ষের কারণ হলো আরাকান আর্মি সিত্তয়ে, রাথেদাউং আর বুথিদাউং টাউনশিপে যাওয়ার পথে নৌ আর সড়ক পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল। মেজর জেনারেল জাউ মিন তুন দ্য ইরাবতীকে বলেন, “তারা নৌ ও সড়ক পরিবহন বন্ধ করে দেয়ার কারণে তাতমাদাও যানবাহন ও নৌযানের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে”। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সোমবার বলেছে, তিসওয়ের কাছে পাহাড় থেকে আরাকান আর্মির সেনারা পোন্নাগিউন-রাথেদাউং-বুথিদাউং সড়ক এবং সিত্তয়ে-বুথিদাউং-রাথেদাউং নৌপথে বিঘœ সৃষ্টি করছিল। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে আরাকান আর্মি ছয়বার নৌবাহিনীর নৌযানে হামলা করে। এতে আরও বলা হয়, সেনারা রোববার পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে সংঘাতে দুই পক্ষেরই অনেকে হতাহত হয়েছে। মেজর জেনারেল জাউ মিন তুন মঙ্গলবার বলেন: “পরিবহন আটকে দেয়ার জন্য আরাকান আর্মি সেনা মোতায়েন করেছে এবং তাদের মোতায়েনকৃত সেনাদের উপর বড় ধরণের হামলা চালিয়েছি। আমাদের কিছু হতাহত হয়েছে এবং কিছু অস্ত্রাদির ক্ষতি হয়েছে। আরাকান আর্মি পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে”। আরাকান আর্মি ফেসবুকে জানিয়েছে যে, তারা সোমবার সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে আবার পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। যুদ্ধে তাতমাদাউয়ের ৩০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে এএ। সরকার এএকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে। দ্য ইরাবতী তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। দ্য ইরাবতী, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।