বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে আসছে। গত পাঁচদিনের অব্যাহত সংঘর্ষে এপর্যন্ত এক নারীসহ ৮ জন রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে ।
এতে আহত হয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত শতাধিক। এছাড়া ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়ি ঘর ও ৫০টির মত দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিরাপত্তার জন্য ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অন্যান্য ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গাকে।
সংঘর্ষ শুরু হয় গত (০১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার। তখন রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত গুলাগুলি চলে। সকালে সমিরা আক্তার (৪১) নামের একজনকে মৃত্যু উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি হলেন কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের এফ ব্লকের মৃত ছৈয়দ আলমের মেয়ে।
রবিবার (৪ অক্টোবর) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে আবারো সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষে দুই জন রোহিঙ্গা নিহত হয়।
ভোর ৪টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পের ২ ওয়েষ্ট এর ডি ৫ ব্লকের মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীফ (৩২) ও ডি ২ ব্লকের মৃত ইউনুসের ছেলে শামসুল আলম (৪৫) এতে নিহত হয়।
গত (৫ অক্টোবর) রাত ১১ টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে মোহাম্মদ নাসিম (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত যুবক কুতুপালং ডি-৪, ২ ওয়েস্ট ক্যাম্পের মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে।
কুতুপালং ক্যাম্পের আইন শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) কুতুপালং ক্যাম্পে দু’গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হলে এতে ৪ জন নিহত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে বলে জানা গেছে ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিন সূত্রে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া গতকাল (০৬ অক্টোবর) মঙ্গলবারসকালে টেকনাফের চাকমারকুল এলাকায় র্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রপ্তার করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েক’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাট বন্ধ আছে। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে রেজিস্ট্রার্ড এবং আনরেজিস্ট্রার্ড কয়েকটি রোহিঙ্গা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা।
সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।