রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। গতকাল তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম আপিল ফাইল করেন। আপিলে মিন্নিকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে তার বেকসুর খালাস চাওয়া হয়েছে।

এর আগে মিন্নির স্বাক্ষর করা ওকালতনামা ও মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি নিয়ে গত ৪ অক্টোবর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর রায়ের কপি অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্নার কাছে পৌঁছান। একই দিন সকালে মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স নথিও হাইকোর্টে পৌঁছায়। বিধান অনুসারে অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায়ের কপি হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই আপিল করেন আইনজীবীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ড দেন বিচারিক আদালত। রায়ে অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া আরও ১৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার কিশোর আদালতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গতবছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালতে কয়েক দফা জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন মিন্নি। ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেন। জামিন আদেশে বলা হয়, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত মিন্নি জামিনে ছিলেন।