বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর ডিমলায় পৃথক ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রী ও দুই সন্তানের এক জননীসহ দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনার থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রুপাহারার ডাঙ্গা পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীর শয়ন ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে থাকা রিমু আক্তার (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ডিমলা সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশ ছাত্রীটির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও দুটি চিঠি উদ্ধার করেন। নিহত ছাত্রীটি একই এলাকার দিনমজুর মজিবুল ইসলামের মেয়ে ও ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
অপরদিকে একইদিনের বিকেলে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে দুই সন্তানের জননী মুক্তা রানী রায়(২৮) নামের এক গৃহবধুর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামীর পরিবারের লোকজন।
ওই গৃহবধু উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়নের ভাটিয়াপাডা গ্রামের মৃত রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী সুমন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী । নিহত মুক্তা রানী নীলফামারী সদরের কবরস্থান মোড় সংলগ্ন সওদাগর পাড়ার নরেশ চন্দ্র রায়ের কন্যা।
ওই গৃহবধুর পিতার অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর আগে মুক্তার সাথে সুমনের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকেরা মুক্তাকে বিভিন্ন কারণে অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন মুক্তাকে তার স্বামী ও তার স্বামীর পরিবারের লোকেরা অমানবিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মুক্তার দেবর সুধিরসহ কয়েকজন তাকে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করায় লাশ হাসপাতালে ফেলে সকলে পালিয়ে যায়।
ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন,পৃথক দুটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।