নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দারুণ এক গোলে ম্যাচের শুরুতে দলকে এগিয়ে দিলেন রাহিম স্টার্লিং। পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো লিডস ইউনাইটেড। উজ্জীবিত ফুটবলে করতে থাকল একের পর এক আক্রমণ। এদেরসনের ভুলের সুযোগে ম‚ল্যবান একটি পয়েন্টও তুলে নিল দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা দলটি। গতপরশু রাতে লিডসের মাঠের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। লিডস পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন রদ্রিগো।
সময়ের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলা ও তার কোচিং ক্যারিয়ারের প্রেরণা মার্সেলো বিয়েলসার দলের মধ্যে লড়াইটা বেশ আলো ছড়ালো। প্রথম দিকে ৬০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে খেলা সিটি খেই হারিয়ে ফেলে বিরতির আগে। দ্বিতীয়ার্ধের তাদের ওপর চেপে বসে লিডস। ম্যাচ শেষের হিসেবে সিটি বল দখলে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় অনেকটাই এগিয়ে লিডস। বিয়েলসার দলের নেওয়া ১২ শটের সাতটিই ছিল লক্ষ্যে, সেখানে সফরকারীদের লক্ষ্যে শট ২৩টির মধ্যে মাত্র দুটি।
ম্যাচের শুরুতে চাপ বাড়ানো সিটি চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। তবে বাঁ দিক থেকে নেওয়া কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি-কিক পোস্টে বাধা পায়। গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি। সপ্তদশ মিনিটে ডি-বক্সে বল ধরে আড়াআড়ি গিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলররক্ষককে পরাস্ত করেন স্টার্লিং। আট মিনিট পর ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল লিডস। তবে স্টুয়ার্ট ডালাসের প্রচেষ্টা দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক এদেরসন।
প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার যে ফুটবল শুরু করে লিডস, দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় তা ধরে রাখে তারা। বিরতির ঠিক আগে সমতাও টানতে পারতো স্বাগতিকরা। বাঁজামাঁ মঁদির হারানো বল ধরে ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে শট নেন লুক এইলিং। দ্রæত এগিয়ে এসে আবারও রুখে দেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
৫৯তম মিনিটে এদেরসনের ভুলেই গোল হজম করে সিটি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল পাঞ্চ করতে গিয়ে ঠিকমতো পারেনিন তিনি। ছোট ডি-বক্সের মুখে জটলার মধ্যে বল পেয়ে জালে ঠেলে দেন গত মাসে ভালেন্সিয়া থেকে আসা রদ্রিগো। মুহ‚র্তের ওই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ৭০তম মিনিটে অসাধারণ সেভে দলকে সমতায় রাখেন এদেরসন। রদ্রিগোর হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ঠেকান তিনি, বল তার হাত ছুঁয়ে লাগে ক্রসবারে। ৮৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আবারও সুযোগ পায় লিডস; কিন্তু এগিয়ে আসা এদেরসন বরাবর প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড শট নিলে হাফ ছাড়ে সিটি। জোটে স্বস্তির এক পয়েন্ট।
২০০৩-০৪ মৌসুমের পর প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা লিডস আসরের প্রথম ম্যাচে লড়াই করে লিভারপুলের বিপক্ষে হেরেছিল ৪-৩ গোলে। পরের দুটি ম্যাচ জেতা দলটি চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এভারটন। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে যথাক্রমে লেস্টার সিটি ও লিভারপুল। চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির পয়েন্ট ৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।