মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মতো ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’-এর ধাঁচেই তৈরি বিশেষ বিমানে এবার সফর করবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্প মিসাইল হামলা থেকে সুরক্ষিত যে ধরনের বিমান ব্যবহার করেন সেই বোয়িং-৭৭৭ মডেলের আধুনিক সংস্করণটি ইতোমধ্যেই ভারতে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে ভারতের ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য দু’টি বোয়িং-৭৭৭ বিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। দ্বিতীয় বিমানটি শুক্রবারই পৌঁছাতে পারে। ভিভিআইপিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই উড়োজাহাজের নাম দেয়া হয়েছে ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’। এগুলো পরিচালনা করবে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
৭৬৭ ও ৭৪৭ এর পরে এটিই বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক সংস্করণ। বিশাল মাপের এই বিমানে রয়েছে টুইনজেট সুবিধা। এটি ৯ হাজার ৭০০ থেকে ১৫ হাজার ৮৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। আর মাঝ আকাশে তেল ভরার সুবিধাও রয়েছে এই বিমানের।
এতদিন বিদেশ সফরের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭৪৭ বিমান ব্যবহার করতেন ভারতীয় ভিভিআইপিরা। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে এই বিমানের কল সাইন ছিল এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান। বোয়িংয়ের অত্যাধুনিক সংস্করণের কল সাইনও হতে চলেছে একই নামে।
নিরাপত্তার চাদরে মোড়া বিমান দু’টি সহজেই মিসাইল হানা এড়াতে সক্ষম। রয়েছে সেলফ প্রোটেকশন স্যুট। বিমানগুলিতে রয়েছে সেলফ প্রোটেকশন স্যুটস। এয়ারক্রাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টার মেসার্স, অত্যাধুনিক ডিফেন্সিভ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং কাউন্টার মেসার্স ডিসপেন্সিং সিস্টেম। যা যে কোনও মিসাইল হানা থেকে এই বিমানগুলিকে রক্ষা করবে।
এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ও সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে মাঝ-আকাশ থেকেও নিরবিচ্ছিন্ন অডিও ও ভিডিও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। পাশাপাশি, এই বিমানের নেটওয়ার্ক হ্যাক করা সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে। এই বিমান থেকে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার সঙ্গে কথা বলা যাবে। চালকের আসনে থাকবেন বায়ুসেনার পাইলট। বিমানের ডানায় লাগানো থাকে ফ্লেয়ার্স, এর থেকে বেরুনো তাপ, যে কোনও মিসাইলকে বিপথগামী করে দিতে পারে। এধরনের বিমানে থাকে মিরর বল সিস্টেম। যা অকেজো করে ইনফ্রারেড সিগনালকে। দুটি বিমানের জন্য খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে সেই অত্যাধুনিক বিমান অবশেষে হাত পেয়েছে ভারতীয়রা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।