Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সমর্থন আজারবাইজানকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের বলে জাতিসংঘের স্বীকৃতি সত্তে¡ও তার দখল নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়ার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বেড়েছে সংঘাতের তীব্রতা। এরই মধ্যে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তিন দেশই মনে করে আজারবাইজানের ভ‚খÐে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে।

বুধবার দেয়া ভাষণে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আলিয়েভে বলেন, ‘তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন নেই।’ এমন পরিস্থিতিতে কোনো শর্ত ছাড়াই বিতর্কিত অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। আর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীও লড়াই করেই শান্তি ফেরানোর কথা বলেছেন।

নাগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করে এলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। এদিকে, চলমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার জন্য রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক আহŸান প্রত্যাখ্যান করেছে দুই দেশ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। তবে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিন্যান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পরিস্থিতির যাতে উন্নতি হয় সে ব্যবস্থা করা। পুনরায় শান্তি স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা কাজ করে যাব। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলকহাম আলিয়েভ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটির সমস্যা সমাধানে আমরা সমঝোতার কথা বলে আসছি। তবে এটি অবশ্যই ১৯৯২ সালে গঠিত ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে হতে হবে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশ দুটি স্বাধীন হয়। আজারবাইজানের তুলনামূলক কম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার ইন্ধনে আর্মেনীয়রা ধীরে ধীরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের আশেপাশের বিশাল ভ‚খÐ দখল করে নেয়। এ নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে।

রোববার বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে দুই দেশ। আর্মেনিয়া আর আজারবাইজানের মধ্যে এর আগেও বহুবার যুদ্ধ হয়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে মধ্য এশিয়ার আরও অনেক দেশের মতো আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের বহু আগে থেকেই এদের মাঝে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। স্বাধীনতার পরে থেমে থেমে যুদ্ধ চলে প্রায় তিন বছর। এই তিন বছরে অনেকবার সমঝোতার বৈঠকে বসলেও আর্মেনিয়ার একঘেয়েমিতে সব আলোচনা ভেস্তে যায়। এবং তখন থেকে প্রতি যুদ্ধে আর্মেনিয়া আজারবাইজানের একটু একটু করে ভ‚মি দখল করতে শুরু করে। এখন শুধু নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলই নয়, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের প্রায় ২০ শতাংশ অঞ্চল দখল করে রয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা, ইউরোশিয়ান টাইমস।

 

 



 

Show all comments
  • আশিক ২ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪৪ এএম says : 0
    সকলকে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজ ২ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০৯ এএম says : 1
    এখনই মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তানিয়া ২ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০৯ এএম says : 1
    আর্মেনিয়ার কপালে অনেক দুঃখ আছে বলে মনে হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • নাজিম ২ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১০ এএম says : 1
    তুরস্কের নেতৃত্বে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করা।
    Total Reply(0) Reply
  • মারিয়া ২ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১১ এএম says : 0
    আল্লাহ সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে আপনি হেফাজত করুন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ