নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অপেক্ষার পালা শেষ, সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন। শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন। এদিন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাফুফের নির্বাচনী সাধারণ সভা ও ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ১৩৯ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের নেতৃত্ব বেছে নিবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ গতমাসের মাঝামাঝিতে ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করলেও এবার সভাপতিহীন ২৪ দফার ইশতেহার দিল সমন্বয় পরিষদ।
বাফুফে নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাফুফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মো. আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহি নিজ প্যানেলের পক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিডিএফএ) এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন (বিএফসিএ) সমর্থিত সমন্বয় পরিষদের ১৯ জনের প্যানেল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন দেশের বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক আশিকুর রহমান মিকু।
সমন্বয় পরিষদ ঘোষিত ২৪টি ইশতেহারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মতো বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী দীর্ঘমেয়াদী (১২ বছর) কর্মপরিকল্পনা তৈরী করা। জেলাগুলোর ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়মিত ভিত্তিতে ফুটবল লিগ ও বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। পেশাদার লিগ ও প্রিমিয়ার লিগের আয়োজনকে ঢেলে সাজানো প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়। আটটি বিভাগের ফুটবল দল নিয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চালু করা হবে। জাতীয় ফুটবল দলের (পুরুষ ও নারী) জন্য চার বছর, আট বছর ও ১২ বছরের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়। যার মাধ্যমে আগামী চার বছরের মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি এবং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা পুনরুদ্ধার করা। এছাড়া ইশতেহারে বলা হয়, মান সম্মত দলের অংশগ্রহনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ও শেখ কামাল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করা হবে। পৃষ্ঠপোষকের উপর জোর দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক জিম তৈরী করা হবে ফুটবলারদের জন্য। আর্কাইভে থাকবে অতীত ও বর্তমানের সকল খেলোয়াড়ের রেকর্ড। এছাড়া আয় ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করার পাশাপাশি অতীতের হিসাবও তদন্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান বলেন,‘শেখ মো. আসলামের খেলা দেখতে আমি খুলনা থেকে ঢাকায় চলে আসতাম। উনার ক্যারিয়ারের ৯০ ভাগ গোলই দিয়েছেন মাথা দিয়ে। খুব পরিষ্কার একটি মাথা। তাই আসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আজ বাফুফের নির্বাচনে এক জোট হয়েছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘ফুটবল এখন টেবিলে। এই ফুটবলকে মাঠে আনতে হবে। এক্ষেত্রে তৃণমূলে কাজ করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন বাফুফেতে পরিবর্তন।’
সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মো. আসলাম বলেন, ‘আমাদের প্যানেলের প্রতিনিধিত্ব করছেন জেলা ও বিভাগীয় এবং ক্লাবের সংগঠকরা। যারা পরীক্ষিত। তাই আমাদেরই নির্বাচিত করবেন কাউন্সিলররা। এটা আমার বিশ্বাস।’ এই প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী নেই কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মহি বলেন, ‘আমরা এই পদে কাউকে সমর্থন করছি না। তাই সভাপতি পদকে উম্মুক্ত করে দিয়েছি।’
সম্মিলিত পরিষদ ২১ পদে প্রার্থী দিলেও সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি ছাড়া ১৯ জনের প্যানেল দিয়েছে সমন্বয় পরিষদ। আর স্বতন্ত্রভাবে কাজী সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভাপতি পদে লড়ছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।