মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৭ সালের জুলাই মাসে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুরেশকুমার খন্না স্বীকার করেছিলেন যে, যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রথম দু’মাসে রাজ্যে ৮০৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে! সে সময় যোগী সরকারের বয়স ছিল মাত্র চার মাস।
ভারতের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র তথ্য বলছে, পরবর্তী বছরগুলিতে ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) ধর্ষণ-সহ যৌন হেনস্থার ঘটনার হার বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সাধারণ দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন শাসকদলের নেতা, বিধায়ক ও বিজেপি নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও!
যোগীর পূর্বসূরি অখিলেশ যাদবের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শেষ পর্বে ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের ২ হাজার ৯৪৩টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। যোগীর আমলে প্রথম ১০ মাসেই (২০১৭-র এপ্রিল থেকে ২০১৮-র জানুয়ারি) তা ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৭০৪টি। গত আগস্টে প্রকাশিত এনসিআরবি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮৫৩। যা ভারতের মধ্যে সর্বাধিক। এর মধ্যে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫টি। অর্থাৎ গড়ে দৈনিক প্রায় ১১ জন মহিলা ধর্ষিতা হন ওই রাজ্যে। রিপোর্ট বলছে, এদের মধ্যে ৩৪ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। বহু ক্ষেত্রেই রাজ্য পুলিশের ‘কৃতিত্বে’ আড়ালে থেকে যায় ধর্ষণের ঘটনা। বহু ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা অর্থের ‘সৌজন্যে’ ধর্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেই দায় সারে যোগীর পুলিশ। ধর্ষিতা ‘নিচু জাতি’ কিংবা গরিব পরিবারের হলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সাহসও হয় না। সংবাদমাধ্যমের নজর না পড়লে থানার বাইরে ‘মিটমাট’ও হয়ে যায়! এমনকি, ধর্ষণের পরে খুনের ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলেও দেখানো হয়! যেমন এক আইনের ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণের মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর পুলিশ সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করলেও তার বিরুদ্ধে মামুলি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এনসিআরবি-র রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মোট সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫৬ হাজার ১১ এবং ৫৯ হাজার ৪৪৫। ২০১৭-র মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সে বছর রাজ্যে ৪ হাজার ৬৬৯টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম উন্নাও গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড। যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন বিজেপি’র বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার। ২০১৮ সালে ধর্ষণের সংখ্যা সামান্য কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩২২। এর মধ্যেও ৪১টি ক্ষেত্রে ধর্ষিতাকে খুন করা হয়েছিল। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।