মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সংবিধানে '১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চুক্তি হয়, সেই চুক্তিতে ভারতের সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক প্রবহমান সংস্কৃতির নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ভারতের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। সেই সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তূপের ওপর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবনা থেকে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন এটা নিশ্চিত করেই বলতে হয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভারত যে সম্প্রীতি, সহিষুষ্ণতা, ধর্মনিরপেক্ষতা অর্জন করেছিল, যে অর্জন গোটা উপমহাদেশকেই প্রভাবিত করেছে, সেই অর্জনকে আজ ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হলো।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলি মনোহর যোশীসহ ৩২ জন অভিযুক্ত। দিল্লির সিবিআই আদালতে এই মামলার রায়দানের পর স্বাভাবিকভাবেই ভারতের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে দেশটির বিরোধীরা সরব হয়েছেন রায়ের বিরোধিতায়। এই রায়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী নেতারা।
২৮ বছর পর রায়দানে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ভুলুণ্ঠিত করা হলো। ভারতের মৌলিক ঐক্য ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হলো এই রায়ে। ন্যায় বিচার হলো না।
বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এখন তো আদালতের সব রায়ই শাসকদলের পক্ষে হচ্ছে। রামজন্মভূমির ব্যাপারেও হয়েছে। আমি ভাবছিলাম এমনটাই হবে।” বাবরি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন এলকে আদবানিসহ ৩২ অভিযুক্ত। প্রমাণের অভাবেই তাঁদের নির্দোষ সাব্যস্ত করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সৌগত রায় নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এই রায়ে আমি খুবই হতাশ। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক ছিল একটা মসজিদ। সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আদালত বলল, হাজার হাজার লোকের ভিড়ের জন্য এটা হয়েছে। কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই রায় প্রত্যাশিতই ছিল। এমনই একটা রায় আসবে ভেবেই রেখেছিলাম। এই রায়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে। তিনি বলেন, বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে বলব, ভারতের ঐক্য সংহতি বিসর্জন দিয়ে যাঁরা ভারতে একটি বিশেষ ধর্মের দেশ বলে চিহ্নিত করতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মোদী-শাহের রাজত্বে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। মোদী-শাহ নিজেরাই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে বাকিরা তো ছাড়া পাবেনই। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সরকার যা চাইছে সেই পথেই রায় বেরোচ্ছে। এতে দেশের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জ্যোতি বসু এই ঘটনার পর বর্বরের দল বলে মন্তব্য করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।