পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীই বলেছে, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর্মেনিয়া দাবি করেছে তারা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা আঘাত হেনেছে এবং অজারি বাহিনীর ক্ষতি হয়েছে। তবে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী এ ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি, তারা জানিয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় তাদের কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে মঙ্গলবার পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোববার সকাল থেকে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া উভয়ই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিবেশী দেশ। এদিকে, আজারবাইজান পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক ফোনালাপে এ বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন। এ সময় আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি এবং ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তারা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার দেশ আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ইব্রাহিম কালিন বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূখন্ড ছাড়তে হবে। এদিকে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত নিরসনে তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সব কিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও পক্ষকে যে কোনও ধরনের সমর্থন ও সামরিক কর্মকান্ড জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালবে। উল্লেখ্য, আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিন দেশের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আনাদোলু, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।