মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজ থেকে ২৮ বছর পূর্বে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করবে। আপাতত সেদিকেই নজর ভারতসহ গোটা বিশ্বের। রায় দানের সময় অভিযুক্তদের এদিন এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে বয়সের কারণে এলকে আদভানি, মুরালি মনোহর যোশীর উপস্থিতি নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উন্মত্ত রামভক্তদের হাতে ধ্বংস হয় মসজিদটি। বহুল আলোচিত এই মামলায় মোট ৪৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ১৭ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। বেঁচে আছে ৩২ জন। বিজেপির অনেক সিনিয়র নেতা ওই মামলায় অভিযুক্ত।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আদভানি, মুরালি মনোহর যোশী, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপির ফায়ার ব্র্যান্ড নেত্রী উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজ প্রমুখ।
মামলাটিতে আসন্ন রায় নিয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকী বলেন, ২৭ বছর আগে দিনের আলোয় অযোধ্যাতে ওই ঘটনা ঘটেছিল। সবাই তা জানে। এক্ষেত্রে আদালতের রায়ে এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে দেশে পুনরায় কোনো ধর্মের ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধাচরণে কারো কোনো সাহস না হয়।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর পুলিশের পক্ষ থেকে যে দু’টি এইআইআর হয়েছিল তার প্রথমটি করা হয় লক্ষ লক্ষ করসেবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এরাই ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদের ওপরে উঠে গিয়ে হাতুড়ি-কুড়ুল দিয়ে সৌধ ভেঙে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় এফআইআরটি হয় আটজনের বিরুদ্ধে। এঁরা হলেন বিজেপির এল কে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশি, উমা ভারতী এবং বিনয় কাটিহার এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া এবং সাধ্বী ঋতাম্ভরা। তাঁদের মধ্যে বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, গিরিরাজ কিশোর ও অশোক সিঙ্ঘল মারা গেছেন।
করসেবকদের বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্ত করে সিবিআই। অন্যদিকে, বিজেপি ও ভিএইচপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব পায় উত্তরপ্রদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট।
অযোধ্যা জমি মামলার রায়-
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দিয়েছে। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, বাবরি মসজিদ ভেঙে অভিযুক্তরা আইন লংঘন করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।