পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারাবাখ এলাকায় দখলদার আর্মেনিয়দের থেকে টালিশ গ্রাম ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি ‘সুবিধাজনক উঁচু স্থান’ আজারবাইজানের সেনারা দখল নিয়েছে। ৪০০ ভৌগলিক এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন, যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানসহ বিভিন্ন উপায়ে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে আজারবাইজানের সেনারা। সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এতে শতাধিক আর্মেনিয় সেনা নিহত হয়েছে। গত রোববার ভোরের দিকে আর্মেনিয়ান বাহিনী আজারবাইজানের আবাসিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবারের খবরে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ান অধিকৃত নাগার্নো-কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নতুন মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে। আর্মেনিয়ান দখলদার নেতা আরায়িক হার্টিউইয়ান আজারবাইজানের সাফল্যের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, নতুন সংঘর্ষের ফলে তারা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর কাছে নাগার্নো-কারাবাখের কিছু এলাকা হারিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসময় সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, আজারবাইজান সেনারা সীমান্তের উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে হটিয়ে এসব সুবিধাজনক স্থানগুলোর দখল নিয়েছে। পাল্টা আক্রমণ করে আজারবাইজান সেনারা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। লিখিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে বিপুল সংখ্যক আর্মেনিয়ান সেনা নিহত হয়েছে এবং “শত্রæদের” ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় আর্মেনিয় বাহিনীর উপর ক্রমাগত রকেট, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালিয়ে তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুটি দেশ ১৯৯০ সাল থেকেই আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে এসে তা মারাত্মক রূপ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধের আহŸান জানিয়েছেন। মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস অবিলম্বে উভয়পক্ষকে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য জোরালো আহŸান জানান। বিলম্ব না করে অর্থপূর্ণ আলোচনায় ফেরারও আহŸান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নাগরনো কারাবাখ নিয়ে রোববার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছায়। এ প্রেক্ষাপটে আর্মেনীয় সরকার সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছে। আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথমে আজারবাইজান বাহিনী তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে। কিন্তু আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথমে তাদের সেনা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে। ইয়েনি শাফাক, ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।