পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবা-মা, পরিবার-পরিজন হারিয়েও নিজের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য জীবননাশের হুমকি হাতে নিয়েও সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এক বিশেষ ওয়েবিনারে এমন কথাই ব্যক্ত করেছেন আলোচকবৃন্দ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে "শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ" শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ZOOM এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।
আলোচনায় যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা এদেশে আসলেন সেদিন ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে বরণ করেছি সেদিন- আমাদের সব আছে কিন্তু তাঁর মা নেই বাবা নেই, ভাই নেই। তবুও তিনি এদেশের মানুষের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছেন, একই সাথে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কথা বলার অধিকার দিয়েছেন। দিয়েছেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তখন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন। ১৯৮১ সালের পর দেশে এসে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আগলে রেখেছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি এমপি বলেন, সংগ্রাম মুখর জীবন শেখ হাসিনা একদম পরিবার থেকে দেখে আসছেন। বাবা মায়ের সংগ্রামের যে মুল লক্ষ- মানুষের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা তা শেখ হাসিনা পরিবার থেকে ধারন করেছেন। সকল ঝুঁকি জেনেও তিনি দেশে এসেছেন। বাংলার মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই তিনি ফিরে এসেছেন। বাঙালীও কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসায়। সব রকম শঙ্কা নিয়েও তিনি নিজের ভাগ্যের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নুজহাত চৌধুরী বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন। এর কারনে নিজের জীবন তিনি বিপন্ন করেছেন। তিনি হয়েছেন অবিসংবাধিত নেতা। আমরা গর্বের সহিত বলতে চাই আমরা বঙ্গবন্ধুকে মনে নেই, কিন্তু আমরা শেখ হাসিনাকে দেখিছি। তরুণদের কাছে বলতে চাই ইতিহাস জানো। যেই শিশুটি আজ জন্মাবে তাকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে হবে।
ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন না তিনি রয়েছেন মানব ধর্মে। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমাদের পৌঁছে দিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।