মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাবে ভারতের অর্থনীতি এ বছর ৫ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে। সম্প্রতি এই পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড)। এর আগেও প্রায় সব আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাসেই বলা হয়েছে, চলতি বছর ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি অব্যাহত মহামারির কারণে গভীর মন্দা দেখছে। সংস্থাটি বলছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি এই বছর আনুমানিক ৪ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক উৎপাদন বছরের শেষ অবধি ৬ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমতে পারে। তারা সতর্ক করে বলেছে, আগামী বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও এই সংকোচনের ফলে স্থায়ীভাবে যে আয়ের ক্ষতি হবে তা থেকে যাবে।
আঙ্কটাড বলছে, ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হবে তবে ২০২১ সালে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। ভারতের জিডিপি ২০২০ সালে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে, পরবর্তী বছরে ঘুরে দাঁড়াবে। প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে।
এদিকে কোভিড সংকট থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত মুক্তি পাচ্ছে না বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি। সংস্থাটির গ্লোবাল ম্যানেজিং পার্টনার কেভিন স্নিডার বলেন, প্রথমে ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ হতে পারে যা দ্রুত পুনরুদ্ধারের মতো দেখা যাবে তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কোভিড-১৯ পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরবে না। এক সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো কীভাবে পুনরুদ্ধার করবে সে সম্পর্কে নয়টি পরিস্থিতি বর্ণনা করা যায়। তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে ছিল সেখানে পৌঁছাতে কমপক্ষে ২০২৩ এর তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত সময় লাগবে। এ অবস্থায় সব সম্ভাবনার করা বিবেচনা করে ভারতসহ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এক্স আকারের হতে পারে।
এপ্রিল থেকে জুনে ভারতের অর্থনীতি ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। চলতি বছর ভারতের অর্থনীতিতে বেশ ধরনের সংকোচন হবে বলছে অনেক পূর্বাভাস। রেটিং এজেন্সি ফিচ বলছে এ বছর ভারতের অর্থনীতি সাড়ে ১০ শতাংশ সংকুচিত হবে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন দ্বিতীয় প্রান্তিকের পরিসংখ্যান প্রকাশের পর বলেন আরও কমতে পারে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।