মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ৩রা নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বক্তব্য বিরোধী শিবিরের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করলো।
গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন আমেরিকান গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, এতে আপনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ঠিক আছে, আমাদের কী হবে তা আগে দেখতে হবে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে সম্পন্ন হতে পারে, কারণ ডাক-ভোটের বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করার বিষয়ে একই কথা বলেছিলেন। এবং তিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, সাংবিধানিকভাবে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার বিষয়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছেন আগামী নির্বাচনে ভোট ‘চুরির পাঁয়তারা’ চলছে। চুরিটা হবে ডাক-ভোটের মাধ্যমে। ডেমোক্র্যাটরা করোনার নাম করে ডাক মারফত ভোটের দাবি করে আসছেন, এর একমাত্র কারণ এভাবে সহজে কারচুপি করা যায়। একজনের ভোট অন্যজন দেবে, ব্যালট পেপার চুরি করা হবে ইত্যাদি। ট্রাম্প তাই ডাক-ভোটের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তিনি আগেও ডাক-ভোটের সমালোচনা করেছিলেন। তবে দেখা গেছে ডাক-ভোটের মাধ্যমে কারচুপির কোনো প্রমাণ নেই।
দেশটির জনমত জরিপে বর্তমানে ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে রাজ্যের জরিপগুলো আরও কঠোর। ডেমোক্র্যাটরা দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করছেন যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।
করোনা মহামারির কারণে এখনো আমেরিকার লোকজন চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করছে। আগামী ৩ নভেম্বর কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পরিবর্তে ডাকযোগে ভোট দেওয়াকে নিরাপদ মনে করছেন ভোটাররা। আগের যেকোনো নির্বাচন থেকে এবার ১০ গুণ বেশি ভোট ডাকযোগে পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতেও দুই প্রার্থীর অবস্থান খুব কাছাকাছি। এর ফলে এবারের নির্বাচনের ফলাফল খুব কাছাকাছি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং ডাকযোগে ভোটসহ অনুপস্থিতি ভোট এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : ফক্স নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।