Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. মোর্শেদকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

ঢাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পুনর্বহালের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ- সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির, হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ, তানজিল হাসান প্রমুখ। 

ঢাবি ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে কালো থাবা পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে ভিন্নমতের শিক্ষকদের দমন করা হচ্ছে। ড. মোর্শেদের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালেয়ের আদেশের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবি সিন্ডিকেট। ড. মোর্শেদকে চাকুরিতে অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আজকে স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্বারা। আমরা সরকারকে বলবো- এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে। সেদিন আমরা কঠিন প্রতিশোধ নেব। অবিলম্বে ড. মোর্শেদকে চাকুরিতে পুনর্বহাল না করলে ঢাবি ছাত্রদল কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে বলে জানান রাকিব।
সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমান বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন হয়েছে হাসতে পারো, কাশতে পারো কথা কইতে মানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরি থেকে অব্যাহতির মাধ্যমে কথা বলার অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং তাকে চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ