নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোন সংস্করণ বেশি ভালো- টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে না টেস্ট? তিন ঘরানার সমর্থকই আছে। অতএব উত্তরটা তিনরকম হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বলা হয়, কোন সংস্করণ বেশি লাভজনক? ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের লাভ-ক্ষতির কথা বাদ দিন, টাকা-পয়সার কথা বলা হচ্ছে। কোন ঘরানায় টাকা বেশি- এ প্রশ্নের জবাবে তিন ঘরানার সমর্থকদের উত্তর হবে ওই একটাই, টি-টোয়েন্টি।
ভুলে যান ক্রিকেটের কুলীন ইতিহাস আর ঐতিহ্য, সময়টা এখন টি-টোয়েন্টির। তা এতটাই যে দেশে দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। তাতে মূল সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অর্থকড়ির সঙ্গে মোটেও ভারসাম্য রেখে চলতে পারছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মনে করেন, আগামী দশকে এই ভারসাম্য ধরে রাখাই হবে আইসিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
ফ্লাওয়ার-ভাইদের মধ্যে এই বড়জনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তর্কযোগ্যভাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান। ‘রিভার্স সুইপ’ জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে শুরুর কুশীলবদের একজন। আর কোচিংয়েও সাফল্য পেয়েছেন ব্যাটিংয়ের মতোই। এখন আছেন আইপিএল দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সহকারী কোচের ভূমিকায়। গতরাত থেকে শুরু হওয়া আইপিএলের আগে টেস্ট ক্রিকেটের জন্যও ব্যাট ধরলেন ৬৩ টেস্ট ও ২১৩ ওয়ানডে খেলা অ্যান্ডি। তার মতে, বিরাট কোহলির মতো তারকাদের পাঁচ দিনের সংস্করণ নিয়ে ‘কথা চালিয়ে যাওয়া’ টেস্টের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
আইসিসির সব পুর্ণ সদস্য দেশেই এখন জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ। দেশে দেশে এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ভীষণ চাপ সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওপর। সবকিছু ঠিকঠাক রেখে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি করাই সমস্যা। আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ টিকিয়ে রাখতে ‘তিন মোড়ল’খ্যাত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া আলাদা বলয় সৃষ্টি করেছে ক্রিকেটে। এবার আইপিএলে অভিষিক্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা অ্যান্ডি মনে করেন, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল। তবে এ সংস্করণকে টিকিয়ে রাখতে বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাতে হবে কারণ টি-টোয়েন্টির গতির সঙ্গে পেরে উঠছে না টেস্ট।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে অ্যান্ডি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মধ্যে ভারসাম্য ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দশকে আইসিসি এ নিয়ে কী করে সেটাই হবে দেখার বিষয়। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এখনো বিশেষ করে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর আগ্রহ আছে। ইংল্যান্ডে ভালো সিরিজ হয়েছে। মাঠে দর্শক ছাড়া টিভির জন্য বানানো পাঁচ দিনের এই সংস্করণে আগ্রহ ছিল সম্প্রচারকদের। খেলোয়াড়দের মধ্যেও টেস্ট নিয়ে আগ্রহ আছে। আইসিসিকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এসব সামলাতে হবে।’
টেস্টের আবেদন বাড়াতে ক্রিকেটে নেতৃত্বস্থানীয় খেলোয়াড়দের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ৫২ বছর বয়সী সাবেক এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এ ক্ষেত্রে কোহলির কথা উঠে আসে সবার আগে। ভারতীয় অধিনায়ক এর আগে বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটের ধারেকাছেও নেই কোনো সংস্করণ। দীর্ঘ এক যুগ ইংলিশ ক্রিকেটের সঙ্গে থেকে আইপিএলে চলে আসা অ্যান্ডি এ নিয়ে বলেন, ‘কোহলির মতো ক্রিকেটারদের টেস্ট নিয়ে কথা বলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত সে এটা বুঝেশুনেই বলেছে, পেশাদার ক্রিকেটারদের জন্য টেস্টই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা শুনতে ভালোই লাগে। বাকিদের প্রেরণা যোগায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।