২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ক্যান্সারকে বর্জণ করতে চান? তাহলে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে এবং দাঁত ব্রাশের পূর্বে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মাঁঢ়ির স্বাস্থ্য খারাপ তারা কয়েক ধরণের ক্যান্সার ঝুঁকির মধ্যে থাকে। দেখা গেছে মাঢ়ি রোগের ইতিহাস পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি শতকরা ৫২ ভাগ বৃদ্ধি করে থাকে, যেখানে গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৩ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। জনগণের মধ্যে যারা দুই বা তার অধিক দাঁত হারিয়ে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে শতকরা ৩৩ ভাগ পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আর শতকরা ৪২ ভাগ গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, তুলনামূলকভাবে যাদের একটিও দাঁত হারায়নি। যারা অনেকগুলো দাঁত হারিয়ে ফেলেছেন তাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পেরিওডন্টাল স্বাস্থ্য খারাপ হলে সংক্রমণের মাধ্যমে আপনার হৃদযন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে। পেরিওডন্টাইটিস এর সাথে লিভারের রোগ যেমন নন-এলকোহলিক লিভার ডিজিজ, লিভার সিরোসিস এবং হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় অর্থাৎ এসব রোগের অবস্থার অবনতি ঘটে থাকে।
আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং আপনার মাঢ়ি রোগ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার গর্ভের শিশু নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নিতে পারে। শুধু তাই নয় ঐ শিশু আকার আকৃতিতে ছোট হবে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে মাঢ়ি রোগের কারণে শুধুমাত্র হৃদরোগ নয় বরং ব্রেইন স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনার মাঢ়ির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন এবং ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুণ। তাহলেই ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক কমে আসবে। কিছু ভিটামিনের কারণে আপনার ঠোঁট খসখসে এবং ফাটলযুক্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অহেতুক কোনো এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। ঠোঁট এবং জিহবার জ্বালাপোড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ঠোঁট যেন বেশিক্ষণ সূর্যের আলোতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে অনেক সময় ঠোঁটের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। নিজে নিজে কোনো স্টেরয়েড জাতীয় মলম ব্যবহার করবেন না। এতে অনেক সময় উপকার না হয়ে ক্ষতি হয়ে থাকে। আপনার মাঢ়ি থেকে রক্তপাত হলে সব সময় এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না যে, আপনার মাঢ়ির রোগ বা জিনজিভাইটিসের কারণে রক্ত পড়ছে। বিভিন্ন ধরণের রক্ত রোগ, টিউমার যেমন হেমানজিওমা ইত্যাদি কারণেও মাঢ়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। তাই এসব বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকবেন। মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য অনেকাংশে ভাল থাকবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।