মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু-কাশ্মীরের পর এবার লাদাখ এবং গুজরাতকে নিজেদের দাবি পাকিস্তান। মঙ্গলবার এক সভায় এমনটাই দাবি করেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ ৫ আগস্ট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ম্যাপে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং পশ্চিম গুজরাটের কিছু অংশ পাক এলাকা হিসাবে দেখানো হয়েছে। তবে এই প্রথম এটি কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকে ভারতের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা হল।
যখন দিল্লি আর বেইজিং এর সংঘাত নিয়ে দুই দেশেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তখন পাকিস্তান ভারতের জন্য নতুন চিন্তার উদ্রেগ করলো। ভারতের একাধিক ভূখণ্ড তাদের মানচিত্রে সংযুক্ত করে ভারতকে ভালোই বিব্রত করলো পাকিস্তান।
'সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে'র সদস্য দেশগুলির আয়োজনে ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। এই মিটিংয়ে পাকিস্তানের নতুন এই ম্যাপ দেখার পর 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার (এনএসএ)-র এই ভার্চুয়াল মিটিং থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বের হয়ে যায় ভারত। এই মিটিংয়ে পাকিস্তান তাদের দেশের যে নতুন ম্যাপটি তুলে ধরে তাতে দেখা যায়, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং গুজরাতের কিছু অংশ অবলীলায় পাকিস্তানের সেই মানচিত্রে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, যে মানচিত্রটি পাকিস্তান দেখিয়েছে তা আগস্ট মাসের ৪ তারিখে তৈরি করেছিল। মিটিংয়ে পাকিস্তানের এরকম আচরণ স্বভাবতই ভালভাবে নেয়নি ভারত। তাই ভারত রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পাকিস্তানের এই আচরণকে 'এক্সারসাইজ ইন পলিটিক্যাল অ্যাবসারডিটি' বলে উল্লেখ করল নয়াদিল্লি।
এই ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, এনএসএ-র এই মিটিংয়ে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কাল্পনিক মানচিত্র তুলে ধরেছে। যে কোনও আলোচনার আসরে এই ধরনের কাজ তো মিটিংয়ের মূল লক্ষ্যটিকেই ব্যাহত করে। তা ছাড়া মিটিংয়ের হোস্টের পক্ষেও এটা বেশ অবমাননাকর ব্যাপার।
ঘটনা হল, আসল মানচিত্র যা-ই হোক, আর পাকিস্তান যে মানচিত্রই বৈঠকে তুলে ধরুক তার তুল্যমূল্য বিচার নিয়ে পাকিস্তানের তরফে কোনও স্পষ্ট ও স্বচ্ছ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ভারতকে সমালোচনা করতেও ছাড়েনি তারা। পাকিস্তান জানায়, যে-ফোরামের কাজই সহযোগিতার আবহ তৈরি করা সেই রকম একটি মঞ্চ থেকে ভারতের এই ভাবে বেরিয়ে যাওয়াটা বেশ বাজে একটা ব্যাপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।