মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেও হত্যা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ট্রাম্পের বিরোধিতায় সেটি সম্ভব হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে নিজেই এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাইলেই আসাদকে সরিয়ে দিতে পারতাম। তাকে হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি জানেন না কিভাবে যুদ্ধে জিততে হয়। তাই তিনি আমাদের বেশিরভাগ বিষয়ের সঙ্গেই দ্বিমত পোষণ করতেন।’
সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দেশটির সাবেক মেরিন জেনারেল ছিলেন। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্পের নানা খামখেয়ালি কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় ট্রাম্পের সঙ্গে তার মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অর্থবরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ম্যাটিসের মতবিরোধ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তবে সে সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ম্যাটিস পদত্যাগ করেননি, তাকে তিনি বরখাস্ত করেছেন।
অনুষ্ঠানে ম্যাটিস সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘এ সাবেক জেনারেল একজন মহান আমেরিকান, তিনি দেশকে অনেক দিয়েছেন। আমি বলব না তিনি ভালো বা খারাপ আমেরিকান। আমি শুধু বলছি, তিনি কাজ ভালো করেননি, তাই তাকে যেতে দিয়েছি।’
এদিকে, ইরানের কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জেরে ইরান মার্কিন সম্পদে আঘাত হানতে পারে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সোমবার রাতে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছে, ‘সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে সন্ত্রাসী নেতা সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড বা যেকোনও ধরনের হামলা চালালে তার জবাবে এক হাজার গুণ বেশি মাত্রার হামলা চালানো হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান ইরানের প্রভাবশালী নেতা ও অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর পরপরই মার্কিন সম্পদে হামলা চালিয়ে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অবশ্য ইতিমধ্যে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়েছে ইরানি সেনারা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।