নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আবারও ‘টেন্ডুলকার’ নামটি ফিরছে? ভারতীয় গণমাধ্যমের যে খবর তাতে এবারের আইপিএলেই হয়তো টেন্ডুলকারকে দেখা যেতে পারে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস যে এবার সঙ্গে করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে গেছে টেন্ডুলকারকে। এই ‘টেন্ডুলকার’ শচীন নন, তিনি ‘অর্জুন’। তবে তার শরীরে শচীন টেন্ডুলকারের রক্তই বইছে। কিংবদন্তি বাবার পথ অনুসরণ করে ১৯ বছর বয়সেই তিনি ঘোষণা করেছেন তার আগমনী বার্তা। এবারের আইপিএল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গেও তিনি আছেন। যদিও তিনি নিলামে ওঠা খেলোয়াড় নন। কিন্তু আইপিএলের মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তার অবস্থান গুঞ্জন তুলেছে, আইপিএলে হয়তো অভিষেকই হতে পারে শচীন-পুত্রের।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্জুন টেন্ডুলকারের ছবি ঘুরে ফিরছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের তারকাদের সঙ্গ উপভোগ করছেন। ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসনদের মতো ফাস্ট বোলারদের সঙ্গেই তার ওঠা-বসাটা বেশি। এর কারণটা খুব পরিষ্কার। বাবার মতো পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান যে তিনি নন। বাঁ হাতি পেসার আর বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি নিজেকে গড়েছেন। তাহলে কি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পক্ষে সই করে ফেললেন শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে?
উত্তরটা এখনই নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে না। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলের সঙ্গে এই প্রথম ঘুরছেন না তিনি। অতীতে অনেকবারই মুম্বাইয়ের জার্সি পরে, দলের সঙ্গে দেখা গেছে তাঁকে। শচীন নিজেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ‘আইকন’ খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন কয়েক মৌসুম। তবে এবার আরব আমিরাতে তিনি গেছেন নেট বোলার হিসেবে। দলের অনুশীলনে সহায়তা করছেন বোলিং করে। নেট বোলার হিসেবেও তিনি নতুন নন। খোদ ভারতীয় দলের নেটেও তিনি বোলিং করেছেন। ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অনুশীলনেও তাঁকে দেখা যায়। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের সময় তো এক কাÐই করে বসেছিলেন। তার ইয়র্কারে আহত হয়ে নেট ছাড়তে হয়েছিল ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোকে।
অর্জুনের অবশ্য মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে এবারের আইপিএল খেলার একটা সম্ভাবনা আছে। টুর্নামেন্টের মধ্যে যদি মুম্বাইকে কোনো খেলোয়াড় বদল করতে হয়, তাহলে হয়তো দলে আসতে পারেন তিনি। স্কোয়াডের অংশ না হয়েও তিনি দলে ঢুকতে পারেন করোনা পরিস্থিতির কারণেই। বিশেষ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এবারের আইপিএলে কোনো খেলোয়াড় আহত হলে তার বদলি নিয়ে যাওয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া। সে কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দলের সঙ্গে থাকা বাড়তি কোনো খেলোয়াড়কেই বদলি হিসেবে খেলানোর অনুমতি দিতে পারেন।
অর্জুন এরই মধ্যে ভারতীয় অন‚র্ধ্ব-১৯ দলের অংশ হয়েছেন। ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো আইপিএল দিয়েই পেশাদার ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হতে পারে টেন্ডুলকার পরিবারের আরেক প্রজন্মের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।