মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটে গতকাল দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইয়োশিহিদে সুগা। এ মাসের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন তিনি। এর আগে তিনি মন্ত্রিসভার ‘চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি’ ছিলেন।
ইয়োশিহিদে সুগা যে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন তা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। যদিও তিনি ছাড়াও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, আবের মন্ত্রিসভার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো, বর্তমান উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী তারো আসোর নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে সবাইকে হারিয়ে ইয়োশিহিদে সুগাই শিনজো আবের উত্তরসূরী হলেন। দলে যিনি শিনজো আবের ডান হাত হিসেবে বিবেচিত। মোট ৫৩৪ ভোটের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ৩৯৩ আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ১৪১ ভোটের মধ্যে ইয়োশিহিদে সুগা পেয়েছেন ৩৭৭। তার প্রতিদ্ব›দ্বী নীতি-নির্ধারক পরিষদের চেয়ারম্যান ফুমিদো কিশিদা পেয়েছেন ৮৯ ভোট। আর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পেয়েছেন ৬৮ ভোট।
৭১ বছর বয়স্ক ইয়োশিহিদে সুগা জন্ম নিয়েছিলেন একজন স্ট্রবেরি চাষীর ঘরে। মেধা আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি পরিণত হন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদে। রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টি (এলডিপি) ক্ষমতায় এলে তাকে মন্ত্রীপরিষদের মুখ্য সচিব করা হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যমেয়াদ। ফলে সরকারের বাকি অর্ধেক সময় টেনে নিতে হবে ইয়োশিহিদে সুগাকেই। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জাপানে। জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদের প্রধানমন্ত্রী আবের উত্তরসূরি হিসেবে মন্ত্রিসভাসহ বড় বড় গণমাধ্যমের সমর্থনও ছিল সুগার পক্ষেই। সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কোইচি নাকানো গণমাধ্যমে বলছেন, ‘সুগাকে স্থলাভিষিক্ত করে আবের পুরনো মন্ত্রিসভা দিয়েই সরকার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
২০১২ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুগাকে মন্ত্রিসভার তথা সরকারের শীর্ষপদ ‘চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি’ করেন আবে। প্রভাবশালী এ পদের মাধ্যমে তিনি নানামুখী ক্ষমতা পেয়েছেন। যেমন- সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা এবং নীতি নির্ধারণে সহায়তা ছাড়া আমলাদেরও নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুগা আবের দেখানো পথে চলবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ৭১ বছর বয়সী এই নেতা জানিয়েছেন, তিনি আবে প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিমালা অনুসরণ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আবের নীতিমালা অনুসরণ করতে চাই এবং অর্থনীতিকে আরও সম্প্রসারিত করতে চাই।’ সূত্র : জাপান টাইমস, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।