মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বছর শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসতে পারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার ইনকর্পোরেশন। জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে জোট বেঁধে ভ্যাকসিন বানানোর কাজ চালাচ্ছে তারা।
রোববার সিবিএস-এর ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বৌরলা দাবি করেছেন, তার সংস্থার তৈরি করা ভ্যাকসিন ‘নিরাপদ’। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্র পেলে ২০২১-এর আগেই বাজারে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন। বর্তমানে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় সামনের সারিতেই রয়েছে ফাইজার। আমেরিকাতে মানুষের মধ্যে ফেজ-থ্রি ট্রায়ালও শুরু করেছে তারা। ভ্যাকসিন তৈরির কাজও পুরো দমে চালাচ্ছে ফাইজার। সাক্ষাৎকারে বৌরলা বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছি। বিপুল সংখ্যক ডোজও তৈরি হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা শুধু স্টাডির রিপোর্ট ইতিবাচক হওয়ার। তা এলেই এই ভ্যাকসিন আমরা বাজারে ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।’
ফাইজার জানিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যেই জানা যাবে তাদের ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর। ফাইজার কর্তার আশা, অক্টোবরে এই ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা ৬০ শতাংশ জানার সম্ভাবনা রয়েছে। ওযুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি মনে করছে, অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত যে পরিমাণ তথ্য তাদের হাতে আসবে তা দিয়ে কার্যকরিতার ব্যাপারটি বোঝা সম্ভব হবে। সে জন্য ভ্যাকসিনের সফলতার ব্যাপারে বৌরলার সাবধানী মন্তব্য, ‘এটা যে কাজ করবেই, তা বলছি না। তবে যদি সফলভাবে কাজ করে আমরা তা জানাব।’ তবে অক্টোবরের পরও ফেজ-থ্রি ট্রায়াল চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানো হবে। শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহে ট্রায়ালের জন্য ৩০ হাজার রোগীকে ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও ১৪ হাজার জনকে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রার কথাও জানিয়েছে তারা। কিশোর থেকে বৃদ্ধ— বিভিন্ন বয়সের রোগীর মধ্যে চালানো হবে ট্রায়াল। সেই তালিকায় থাকবেন বিভিন্ন জনজাতির মানুষও। এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি রোগে আক্রান্তদের মধ্যেও ট্রায়ালের কথা জানানো হয়েছে ফাইজারে তরফে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা শনিবার জানানো হয় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে। সে জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা খুব শীঘ্র প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়। এই ঘটনার এক দিন পরেই এল ফাইজার কর্মকর্তার ঘোষণা। সপ্তাহখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা। তা হলে কি ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপও কাজ করছে? এই বিষয়টি অবশ্য সরাসরি নাচক করেছেন বৌরলা। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফাইজারকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চাই।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ভ্যাকসিন কতটা ‘নিরাপদ’ হবে সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।
ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ‘চ্যাডক্স ১’ তৈরি করছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কিন্তু এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ট্রায়াল ফের চালু করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বলেন, ‘এখনও আশা করছি, চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে আমরা ভ্যাকসিন আনতে পারব।’ যদিও ভ্যাকসিন আনার প্রতিযোগিতার মধ্যেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো করে মানুষের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।