মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদিকে শান্তির বাণী অন্য দিকে সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের ঠেলাঠেলি চলছেই। এই মধ্যে নতুন খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তারা বলছে, একদিকে আলোচনার নাটক, অন্যদিকে সীমান্তে একের পর এক সেনা বহর মোতায়েন। দ্বিচারিতার খেলা ভালোই খেলে চলেছে চীন। ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ার পর ফের একটা বৈঠকের আয়োজন করতে চাইছে ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্য আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। কিন্তু সেপথে হাঁটতে রাজি নয় বেইজিং।
সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ভারতের সঙ্গে ৫ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্মতি দেয় চীন। রাশিয়ার মস্কোয় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বৈঠকে এই সম্মতি দেন। কিন্তু সেই আলোচনা ব্যর্থতায় পরিণত হল।
এদিকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে সাঁজোয়া, অতিরিক্ত সেনা সীমান্তে মজুত করছে চীন। পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে স্পানগর গ্যাপে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে চলে এসেছে চীনা সেনারা। ফলে ভারতীয় সেনায় জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। চীনা উসকানিতে কোনওভাবেই যেন ভারত পা না দেয়, সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ থেকে গুরুং হিল ও মাগার হিলের মধ্যবর্তী স্পানগর গ্যাপে অবৈধভাবে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে চুশুলের কাছে দখলদারী এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য। দুই দেশই শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের ওপর এখন উড়ছে ভারতীয় পতাকা। চীনা সেনাকে পুরোনো অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তবে পূর্ব লাদাখে এখনও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করেছে চীনা সেনারা। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, প্যাংগং লেক এলাকায় নতুন করে সেনাছাউনি চোখে পড়েছে।
কৌশলগত দিক থেকে এই এলাকায় যে দেশ প্রভাব ধরে রাখতে পারবে, তারা সামরিক দিক থেকে এ এগিয়ে থাকবে। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই স্পানগার লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ইতিমধ্যে একটি রাস্তা তৈরি করেছে চীন। যার মাধ্যমে চীনা সেনারা যাতায়াত করতে সক্ষম।
সেখানে তৈরি হয়েছে চীনা সেনাঘাঁটিও। এই এলাকা থেকেই চীনা সেনাকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারত। তবে তাতে যে তারা কর্ণপাত করেনি, তা বলাই বাহুল্য। তবে শুধু প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তই নয়, স্পানগার গ্যাপ এলাকাও দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই এলাকা সেনা মুভমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: কলকাতা২৪, সংবাদ প্রতিদিন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।