মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পাহাড়ি রাজ্য অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু নিজের সংসদীয় আসন সফর করেছেন। তাওয়াং জেলার মুক্তো আসন থেকে নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা সেখানকার একটি গ্রামের বাসিন্দাদের সাক্ষাত করতে ১১ ঘণ্টায় ২৪ কিমি দুর্গম পথ হেঁটে গ্রামবাসীর কাছে পৌছেন। দুর্গম উপত্যকা আর বনাঞ্চল পেরিয়ে তাওয়াং থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দূরবর্তী লুগুথাং গ্রামে পৌঁছান ৪১ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার এই যাত্রার কথা টুইটও করেন পেমা খান্দু। তিনি লিখেন, ‘খারপু লা (১৬ হাজার ফুট) অতিক্রম করে লুংথাং (১৪ হাজার ৫০০ ফুট) যাওয়ার এই অভিজ্ঞতা এক কথায় অসাধারণ। লুংথাংয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হল। তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনলাম। সরকারের সব রকমের সুবিধা যেন সেখানে পৌঁছায় সেই চেষ্টা করব।’
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকা থিংবু তেহসিলে ১০টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫০ জন বাস করেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতেই ১১ ঘণ্টার এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই লুংথাং যাওয়ার কোনও পাকা রাস্তা নেই। এখানকার বাসিন্দাদের পাহাড় ভেঙেই যাতায়াত করতে হয়। তবে এই যাত্রার সময় আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। শুধু খারপু লা নয়, এই যাত্রাপথের মধ্যে অসংখ্য লেক অতিক্রম করতে হয়, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো।
লুংথাংয়ে গিয়ে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে দু’রাত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামটিতে পৌঁছানোর পরদিন সেখানে একটি বৌদ্ধমন্দির স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সেখানকার এমএলএ তেসারিং তাসি, গ্রামবাসী এবং তাওয়াং বৌদ্ধআশ্রমের পন্ডিত।
বৌদ্ধমন্দিরটির নামকরণ করা হয়েছে পেমা খান্ডুর বাবা এবং রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্ডুর নামে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল তাওয়াং থেকে ইটানগর ফেরার পথে লুগুথাং গ্রামের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান দর্জি খান্ডু।
লুগুথাং গ্রামটিতে মূলত ইয়াক পালনকারী যাযাবর জনগোষ্ঠীর বসবাস। গ্রীষ্মকালের কয়েকটি মাস তারা হিমালয়ের উচ্চতম এলাকায় অবস্থান করে সবুজ ঘাসের সন্ধান করে। আর শীতের সময়ে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় নেমে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।