মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মস্কোয় ভারত-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাস্তব ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছে। প্যাংগং লেক বরাবর ফিংগার পয়েন্টগুলোতে দুই দেশই সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে বৃহস্পতিবার দু’দফায় আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। প্রথমবার মধ্যাহ্নভোজন পর্বের বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও ছিলেন। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর এবং ওয়াং লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে, এই জোড়া বৈঠকের পরেও লাদাখ-পরিস্থিতি বদলের কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সম্মত হয়নি চীন।
বৈঠকের পরে যুগ্ম বিবৃতিতে ভারত ও চীন সরকারের তরফে ঐক্যমতে পৌঁছানোর বিষয়ে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এ যাবৎ দুই দেশের নেতাদের চেষ্টায় গড়ে ওঠা দ্বিপাক্ষিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে দুই তরফই। বিশেষত সতর্ক থাকা হবে, মতান্তর যেন কোনও মতেই চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছয়। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, সীমান্ত সমস্যা কোনও পক্ষের কাছেই লাভজনক নয় এবং সেই কারণেই চীন ও ভারতের সামরিক পর্যায়ে বৈঠকের ভিত্তিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ সরানোর প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হবে। সেই সঙ্গে দুই পক্ষের সেনা ঘাঁটির মাঝে ব্যবধান বাড়িয়ে উত্তেজনায় লাগাম দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে বৈঠকে।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এলএসি-তে উত্তেজনা প্রশমন এবং সীমান্ত সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পাঁচ দফা সূত্রে ঐকমত্য হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আগেকার চুক্তি ও প্রটোকল মেনে চলা, সঙ্ঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে এমন পদক্ষেপ এড়ানোর মতো বিষয়গুলি রয়েছে। এলএসি নিয়ে মতবিরোধকে সঙ্ঘাতে গড়াতে না দেয়া, ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং উত্তেজনা প্রশমনে আস্থাবর্ধক কর্মসূচি নেয়ার মতো বিষয়গুলিও পাঁচ দফা সূত্রে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সায় দিয়েছেন ওয়াং। কিন্তু নিজেদের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখা’র কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়াগুলি থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির পিছু হটার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ভারতীয় সূত্রের খবর, ফিংগার-তিনে বিপুল সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করেছে ভারত। আরও সেনা সেখানে জড়ো করা হচ্ছে। তার কারণ, ফিংগার তিনকে এ বার টার্গেট করেছে চীন। গত কয়েক দিন ধরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে চীনাসেনার উপস্থিতি বেড়েছে। দু’দিন আগেই দুটি মোটর বোটে চেপে ৪০ চীনা সেনার একটি দল প্যাংগং লেক ধরে ফিংগার তিনে ঢোকার মরিয়া চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু, ভারতীয় সেনা বাহিনীর সতর্ক পাহারায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফলে, সুরক্ষার খাতিরেই ফিংগার তিনে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত।
এর আগে গত শুক্রবার এসসিও সম্মেলনের ফাকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু গত ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত ও চীনা সেনাদের রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর রাজনৈতিক স্তরের সেই প্রথম বৈঠকে এলএসি নিয়ে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছানো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) নিয়েও ঐকমত্য হয়নি। সূত্র: টিওআই, এশিয়ানেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।