মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বুধবার ব্রিটেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য সাক্ষরিত চুক্তির কোন অংশ ব্রিটেন উপেক্ষা করলে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তাদের যে কোনও নতুন বাণিজ্য চুক্তি বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটের এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘ব্রিটেন যদি আন্তর্জাতিক চুক্তি ও গুড ফ্রাইডে চুক্তির কোন শর্ত লঙ্ঘন করে, তবে আমেরিকা-ব্রিটেন নতুন কোন বাণিজ্য চুক্তি মার্কিন কংগ্রেসে পাস করার হওয়ার কোন সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তিটি আমেরিকান জনগণের জন্য মূল্যবান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে তা গর্বের সাথে রক্ষা করবে।’ প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষে বর্তমানে ডেমোক্র্যাটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে, সরকার চাইলেও তাদের সমর্থন ছাড়া এ ধরণের কোন চুক্তি পাশ করা সম্ভব হবে না।
এদিকে, ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখেও আইন প্রণয়ন করে ব্রেক্সিট চুক্তির কিছু শর্ত ভাঙার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের সংসদে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারের অখÐতা নিশ্চিত করতে তার সরকার এই আইন কার্যকর করার পথে এগিয়ে যাবে। জনসনের সরকার সত্যি প্রস্তাবিত আইন কার্যকর করতে পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাতিল হয়ে যাবে। সেই বোঝাপড়া অনুযায়ী ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবার পর ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশে শুল্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন নিয়ম চালু করার কথা। আইরিশ প্রজাতন্ত্র ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্থল সীমানায় নিয়ন্ত্রণ এড়াতেই চুক্তিতে সেই পদক্ষেপ অন্তর্গত করা হয়েছিল। ব্রিটেন সেই শর্ত ভাঙলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভঙ্গুর শান্তি প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। এই বিচ্ছেদ কার্যকরী করতে বেশ কিছু শর্ত নিয়ে ব্রেক্সিট বিল পাশ হওয়ার আগে ইইউ’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক আইন মতে ওই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য দু’পক্ষই। এর মধ্যেই ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ব্রিটেনের। একতরফাভাবে ‘ব্রেক্সিট চুক্তি’তে বদল ঘটাতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপরই রীতিমতো ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ করার ভাবনা শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের অভিযোগ, বরিস জনসনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা।
ব্রিটেন চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ইইউ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে, তবে একটি চুক্তির অধীনে তারা এখনো বাণিজ্য বাধা মুক্ত একক বাজারে রয়ে গেছে। এই চুক্তির মেয়াদও আগামী ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যাবে। লন্ডন বলেছে যে, যদি তারা ইইউর সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি অনুক‚ল বাণিজ্য চুক্তি ১ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করতে না পারে, তবে তারা চুক্তি ছাড়াই সরে আসবে। এই চুক্তিতে ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের দ্বীপ রাষ্ট্রের সাথে সীমান্ত মুক্ত বাণিজ্য করতে চাইছে, কিন্তু ইইউ বলছে, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং মূল ভ‚খÐ ব্রিটেনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পণ্যের উপরে কর নির্ধারণ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, সীমান্তের ব্যবস্থায় একমত হওয়ার ব্যর্থতা ১৯৯৯ সালে সাক্ষরিত গুড ফ্রাইড চুক্তিকে বিপদে ফেলতে পারে, যা উত্তর আয়ারল্যান্ডে তিন দশকের রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক দ্ব›দ্বকে মূলত থামিয়ে রেখেছে। সূত্র : রয়টার্স, ডিপিএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।